ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হলো বলিভিয়া

টুইট ডেস্ক : ইসরাইলের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের ‘দ্য হেগ’-এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যা মামলায় যোগ দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া।

বুধবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য একটি আবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করেছে বলিভিয়া। যেখানে গাজা যুদ্ধে গণহত্যার অপরাধের প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশন লঙ্ঘন করায় ইসরাইলকে অভিযুক্ত করা হয়। খবর আনাদোলুর।

এর আগে কলম্বিয়া, লিবিয়া, স্পেন, মেক্সিকো, ফিলিস্তিন, নিকারাগুয়া ও তুরস্ক এই মামলায় যুক্ত হয়েছে।

১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী সমস্ত রাষ্ট্র গণহত্যা না চালাতে এবং এটি প্রতিরোধ করতে ও চুক্তি অমান্যকারী দেশকে শাস্তি দিতে বাধ্য। চুক্তিতে গণহত্যাকে ‘একটি জাতীয়, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কাজ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

গাজায় গতবছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে অন্তত ৯৭ হাজার ৭২০ জন। নিহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী থেকে সেনা কমান্ডার পর্যন্ত বিস্তর কর্তাব্যক্তি কোনো রাখঢাক ছাড়াই বলেছেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন না পর্যন্ত তাদের অভিযান থামবে না। কবে এই যুদ্ধ থামবে তার কোনো লক্ষণও নেই।

এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলের কার্যক্রমে গণহত্যার আচরণ স্পষ্ট। তারা ফিলিস্তিনি জাতীয়তা, জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা করছে।

গণহত্যার অভিযোগে এটি আইসিজের সামনে দ্বিতীয় মামলা, এর আগে গাম্বিয়া রোহিঙ্গা জাতিহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। সে মামলা এখনো চলছে। আর আইসিজে হল জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমস্যার সমাধান করে। জাতিসংঘের সব সদস্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আইসিজে’-এরও সদস্য।