আশার ঋণ বিতরণের সক্ষমতা সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর সাংবাদিকদের নিয়ে আশা’র সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকায় অবস্থিত একিট হোটেলের কনফারেন্স রুমে এই সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় আশা’র কার্যক্রম আলোকচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) সৈয়দ মোস্তাক হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, আশার ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) হামিদুল ইসলাম, জয়েন্ট ডেপুটি ডোইরেক্টর শেখ ওবায়দুল্লাহ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আশা-রাজশাহী বিভাগের, ডিভিশনাল ম্যানেজার শ্যামল কুমার ধর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, আশা বিশ্বের শীর্ষ আত্মনির্ভর ও স্ব-অর্থায়িত ক্ষুদ্রঋণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আশার প্রাতিষ্ঠানিক কর্ম-প্রয়াস চার দশকের বেশী সময় ধরে চলছে। আশার কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য ও অভিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি।
আশা’র বিশেষত্ব তুলে ধরা বলা হয়, আত্মনির্ভর ও স্ব-অর্থায়িত, নিজস্ব সম্পদ নির্ভর ও অনুদান মুক্ত, সর্বক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির কঠোর অনুসরণ, উদ্বৃত্ত আয় থেকে সিএসআর (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি) কার্যক্রম পরিচালনা, এশিয়া ও আফ্রিকার ১৩টি দেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরনীয় করে রাখতে আশা বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি প্রবর্তন করেছে।
আশার ঋণচিত্র তুলে ধরে বলা হয়, রাজশাহী বিভাগে ২২৬টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৫৮৯,৫৯৬ জনকে ৩,৫৩৩ কোটি টাকা ঋণবিতরণ করা হয়েছে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৪৮৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
আশার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অবদান তুলে ধরে জানানো হয়, আশা-রাজশাহী বিভাগে ৯৬৯টি কেন্দ্রে ২৭৮৯১জন শিক্ষার্থী নিয়ে আশা-প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্যানিটেশন ঋণ বিতরণ ১০৪জন ২.১৪ কোটি টাকা, ০৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩৩৯৪৩জন রোগী সেবা গ্রহণ করেন।
২টি ফিজিওথেরাপী সেন্টারের মাধ্যেমে ৪১১৬জন অপারেশন বিহীন হাঁটু-কোমর-ঘাড়-হাতে ব্যাথা, প্যারালাইসিস, অস্ত্রাইটিস, ডিস্ক প্রলেপসহ সকল প্রকার জয়েন্টের সমস্যার চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সদস্যর বীমাদাবি পরিশোধ করা হয়েছে ২৫২১জন ৯.৭৯ কোটি টাকা, সদস্যকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে ২১৯৬জন ৫৬.২০লক্ষ টাকা।