অবশেষে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে মুখ খুললেন মেসি
টুইট ডেস্ক : ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব শিরোপারই স্বাদ পেয়েছেন লিওনেল মেসি। একের পর এক সাফল্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও থেমে নেই মেসি জাদু। আর্জেন্টাইন মহাতারকার অর্জনের ঝুলি যেন দিনকে দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার জিতে নিলেন ‘মার্কা আমেরিকা অ্যাওয়ার্ড’।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে ইন্টার মায়ামির চেজ স্টেডিয়ামে এই পুরস্কার গ্রহণের সময় অবসর নিয়েও কথা বলেছেন মেসি। অবশ্য ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পরই ঘুরে ফিরে উঠে আসছে মেসির অবসর প্রসঙ্গটা। পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে এতদিন পরিস্কার কিছু না বললেও আর্জেন্টাইন তারকা আভাস দিয়েছেন বরাবরই, যতদিন উপভোগ করবেন, খেলাটা চালিয়ে যেতে চান। আবারও সেই উপভোগের মন্ত্রই জপলেন।
গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আরও একবার পরবর্তী বিশ্বকাপ ভাবনায় নিজেকে প্রাসঙ্গিক করলেন মেসি। চোট কাটিয়ে ঘরের মাঠে ফিরে বলিভিয়ার বিপক্ষে এস্তাদিও মাস মনুমেন্তালে আর্জেন্টিনার ৬ গোলের ৫টিতেই অবদান ৩৭ বছর বয়সী মেসির। নিজেও পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।
এরপর অকপটেই বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনার হয়ে শুধু উপভোগ করতে চাই আমি। এখানে খেলতে আসার পর মানুষ যেই ভালোবাসা আমাকে দেয় তা আমায় অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। আমি প্রতিটি মূহুর্ত উপভোগ করতে চাই, কারণ আমি জানি এটাই আমার শেষ ম্যাচ হতে পারে।’
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি খেলবেন না, সে বিষয়ে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিতে চান না মেসি। মার্কার পুরস্কার গ্রহণের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়। এখনই বেশি সামনে এগোতে চাই না। প্রতিটি দিন উপভোগের চেষ্টা করি।
আরও যোগ করেন, ‘আশা করি এই পর্যায়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারব, ভালো অনুভব করব এবং সুখী থাকব। যেটা ভালোবাসি সেটা যখন করার সুযোগ পাই তখন ভালো থাকি। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার চেয়ে এটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখনো বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য স্থির করিনি, কিন্তু প্রতিটি দিন ধরে ধরে ভালো থাকার চেষ্টা করছি।’
বয়স বাড়লেও মেসি এখনো শিরোপা জিততে এখনো মুখিয়ে আছেন, ‘আমি এখনো শিরোপার জন্য ক্ষুধার্ত, যদিও আমার বয়স বাড়ছে, পরিবার বড় হচ্ছে। আমি তাদের সমর্থন অনুভব করি, তাই আমি অপ্রতিরোধ্য। আমি ফুটবল ভালোবাসি এবং এটাই আমাকে সবকিছু দিয়েছে।
কদিন আগে ইন্টার মায়ামিকে সাপোর্টার্স শিল্ড জিতিয়েছেন মেসি। মেজর সকার লিগে (এমএলএস) মায়ামির হয়ে সেটি ছিল মেসির দ্বিতীয় শিরোপা। তার আগে জিতেছিলেন লিগস কাপ। সব মিলিয়ে মেসি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৪৬টি দলগত শিরোপা। ফুটবল ইতিহাসে এত শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব নেই আর কারও।
শুধু দলগত শিরোপা নয়, ব্যক্তিগত অর্জনেও অনেক এগিয়ে মেসি। ৮ ব্যালন ডি’অর, ২ ফিফা বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল, ৬ ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটসহ তার ঝুলিতে আছে ৫৬টি ব্যক্তিগত পুরস্কার। সব মিলিয়ে জিতেছেন ১০২টি শিরোপা। তার এমন অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ‘মার্কা’ তাকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।