পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সমঝোতা এবং সংযত থাকার আহ্বান আইএলও

টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে বিক্ষোভের পর, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) তাদের জীবনযাত্রার মান এবং সংস্থার স্থায়িত্বের দিকে গুরত্ব আরোপ করেছে। এ সঙ্গে সংস্থাটি শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের উদ্বেগগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এবং শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আইএলও জানিয়েছে, ন্যূনতম মজুরি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে গঠনমূলক সংলাপ ও আলোচনায় অংশ নিতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি। এটি কেবল শ্রমিকদের যথাযথ জীবনযাত্রার মানের নিশ্চয়তা দেয় না, তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসার স্থায়িত্বকেও বিবেচনা করে।

বিবৃতিতে আইএলও বলা হয়েছে, আমরা ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কাজকে স্বীকার করি এবং সব পক্ষকে সদিচ্ছার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করি এবং ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের উদ্বেগগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। আইএলও বলেছে, বাংলাদেশের জন্য একটি জাতীয় মজুরি নীতি ও মজুরি নির্ধারণের জন্য একটি প্রমাণভিত্তিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠনকে আমরা স্বাগত জানাই।

এর আগে গার্মেন্ট শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু করে এবং কিছু ইউনিয়ন নেতা ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের দাবি জানান। তবে মজুরি বোর্ড ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করেছে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ড জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ থেকে শুরু করে ১৪ দিন আপত্তি ও পরামর্শের কমিটি উন্মুক্ত থাকবে। এর কোনো পরিবর্তন না হলে চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে এবং আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন কাঠামোতে শ্রমিকরা বেতন পাবেন।