মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যুবদল নেতার হাত-পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে এক যুবদল নেতাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই যুবদল নেতার নাম সজীব হোসেন (৩২)। তিনি রামশাকাজিপুর হাজিপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। সজীব বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের ১ ওয়ার্ড শাখা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
গত প্রায় এক মাস ধরে নাটোরের বিভিন্ন উপজেলায় আটজন বিএনপি ও জামায়াত নেতাকে একই কায়দায় তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নলডাঙ্গা উপজেলাতেই পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে।
যুবলদল নেতা সজীবের স্বজনরা জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে সজীব রামশাকাজিপুর ডা. নাছির উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের চায়ের স্টলে ক্যারম খেলছিলেন। এ সময় সাদা মাইক্রোবাসে হেলমেট পরা ছয় থেকে সাতজন লোক সেখানে আসে। তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয়ে সজীবকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। অচেতন অবস্থায় আধা কিলোমিটার দূরে নলডাঙ্গার একটি সড়কের পাশে তাকে ফেলে চলে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে নলডাঙ্গার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে স্বজনেরা গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সজীব হোসেনের ছোট ভাই সবুজ হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার পর এক্স-রে করা হয়েছে। এতে দুই পা ও বাঁ হাতের হাড় ভাঙা ধরা পড়েছে।
নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নব্বইয়ের দশকে আত্মগোপনে থাকা একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা এই এলাকায় যেমন নির্যাতন চালিয়েছে, ঠিক তেমন ঘটনা ঘটছে এখন। একটু চেষ্টা করলেই পুলিশ তাদের শনাক্ত করতে পারে, কিন্তু তারা তা করছে না। মনে হচ্ছে দুর্বৃত্তরা গ্রেপ্তার হবে না- এমন নিশ্চয়তা পেয়েই একের পর এক নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কে বা কারা সজীবকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে গেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি।