নির্বাচন বানচালের গুজব, সতর্ক থাকার পরামর্শ

ফাইল ছবি

টুইট ডেস্ক : রাস্তার আড্ডা, চায়ের দোকান, বাসের যাত্রী সবখানেই এখন নির্বাচনি আলাপ। অন্যদিকে, প্রার্থীরা ভোটার টানতে দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন পাড়ি-মহল্লা থেকে শুরু করে অলিগলি। তুমুল তালে চলছে প্রচার। এরই মধ্যে কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি করছেন পরিকল্পিতভাবেই।

‘৭ তারিখ ভোট হবে না’, ‘ভোটে ভোটাররা অংশই নিবে না’, ‘সাত তারিখের আগে বড় কিছু একটা হবে’, ‘পিটার হাস ভারত থেকে ফিরে ভোট বন্ধ করে দিবে’ এ রকম নানা গুজবে ভরে গেছে নির্বাচনী মাঠ। তবে নির্বাচন কমিশন বারবার সতর্ক করে বলছে, কোন ধরনের গুজবে কান দেয়া যাবে না।

এদিকে, বিএনপি নেতারা মার্কেটে লিফলেট বিতরণের সময় ভোটগ্রহণের দিন জনসাধারণকে বাড়িতে থেকে তাদের পরিবার-পরিজনকে সময় দেওয়ার আহবান জানাচ্ছেন। নির্বাচনের বিপক্ষে কাজ না করার জাতীয় আন্তর্জাতিক আহবান থাকলেও তারা তা মানেননি।

গত ছয় মাস ধরে একের পর এক গুজব ছড়াতে দেখা গেছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর পর সেটা বেশি ত্বরান্বিত হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সর্বশেষ আসনভিত্তিক গুজবও দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও মিথ্যা ছড়াতে দেবে না ফেসবুক, টিকটক ও গুগল। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন সংক্রান্ত মিথ্যা কিংবা উসকানিমূলক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ৪০ হাজার কর্মী। শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নির্বাচনের সঠিক তথ্য জানাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন সেন্টার’ নামে হাব তৈরির কথা জানিয়েছে টিকটক।

গত নভেম্বরে কোন ধরনের গুজব এবং উসকানিমূলক বক্তব্যে জনসাধারণকে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তথ্য অধিদফতর। তথ্য অধিদফতর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য বিবরণীতে এমন অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেইসাথে তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, গুজব সৃষ্টিকারী সম্পর্কে কোন ধরনের খবর পেলে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গুজবে কান না দিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানিয়েছেন। নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে মানুষের মধ্যে কোন রকমের শঙ্কা থাকার কোন কারণ নেই বলেও উল্লেখও করেন সিইসি। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও ভোটারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।