ভোটে সাড়ে ৪ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট চায় ইসি

ফাইল ছবি

টুইট ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

ওই আবেদনে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণ বিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর হতে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, নূন্যতম তিন ইউনিয়নের জন্য একজন এবং দুর্গম (পার্বত্য এলাকাসহ) ও দূরবর্তী প্রতি দুই ইউনিয়নের জন্য এক জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

এছাড়া প্রতি পৌরসভার জন্য তিনজন, তবে বৃহৎ পৌরসভার ক্ষেত্রে চারজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন এর প্রতি ৪-৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একজন, তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজনের নিয়োগ চান ইসি।

এছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যতীত সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে সংশ্লিষ্ট উপজেলায়, খানায়, জোনে, এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা যাবে। যেসব উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত নেই সেসব উপজেলায়, বিভাগ/জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য হতে অথবা অন্যকোন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য হতে নিয়োগ দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সমন্বয় করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সিইসি জানান, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণা শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে, চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।