বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে এ তথ্য জানান তিনি।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিহত প্রত্যেকের কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আগুন লাগার পর বদ্ধ ঘর থেকে যখন কেউ বের হতে পারেননি তখন ধোঁয়া তাদের শ্বাসনালি চলে যায়। প্রত্যেকের এমন হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে দুঃখজনকভাবে তারা বাঁচতে পারেননি। যারা জীবিত আছে তারাও কেউই শঙ্কামুক্ত নন।

তিনি বলেন, আমরা সবার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা আবার বসবো। সব চিকিৎসকদের সঙ্গে বসে করণীয় প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেব। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোগীর অপ্রয়োজনে স্বজনদের হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানান।

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা : ছবি সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌনে সাতটা সময় আমাকে ফোনে দগ্ধ রোগীদের খোঁজ নিতে বলছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি সব রোগীদের দায়িত্ব নিলাম, চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার সব করা হবে।’

ঢাকা মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ভবন থেকে ৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৪৬ জন মারা গেছেন, এর মধ্যে ৩৭ মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আর অন্যদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ ঘোষণা দিয়ে ভবনটির সামনে হলুদ ফিতা আটকে দেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইনের আউটলেট ছিলো বলে জানা গেছে।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।