বাংলাদেশে টিউলিপের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য রায় নিয়ে যা বললেন ব্রিটিশ আইনজীবীরা

টুইট ডেস্ক: ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকি ও সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির মামলায় রায় আগামী ১ ডিসেম্বর দেওয়া হবে।
সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপের বিরুদ্ধে করা মামলা নিয়ে কয়েকজন ব্রিটিশ আইনজীবী বলেছেন, এটি ‘পরিকল্পিত এবং অন্যায্য’ মামলা। এই আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির সাবেক বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড কেসি। তারা বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন বলে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত জানুয়ারিতে সিটি মিনিস্টারের পদ ছাড়তে বাধ্য হন টিউলিপ।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের এমপি টিউলিপ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ভাগনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে চিঠিতে বরিস জনসন সরকারের সাবেক বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড কেসি, সাবেক টরি অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভি, চেরি ব্লেয়ার কেসি, ফিলিপ সেন্ড কেসি এবং জিওফরে রবার্টসন কেসি বলেছেন, টিউলিপ তার মামলা লড়ার ক্ষেত্রে সাধারণ অধিকার ভোগ করতে পারেননি। তারা অভিযোগ করেছেন টিউলিপকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে জানানো হয়নি এবং তার জন্য কোনো আইনি প্রতিনিধিকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি।
তারা আরও অভিযোগ করেছেন, টিউলিপ যাকে তার আইনি প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে এবং তার মেয়ে হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।
গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর টিউলিপ, তার মা, ভাই, বোনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, হাসিনাকে দিয়ে নিজের মায়ের জন্য পূর্বাচলে প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন টিউলিপ। তার বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই আইনজীবীরা বলেছেন, টিউলিপ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন এবং তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি কোনো পলাতক আসামি নন। তিনি যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত এমপি। তবে তাকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণ করা যেতে পারে যদি শক্তিশালী অভিযোগ থাকে।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর টিউলিপ মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন। তিনি দাবি করেন, তার সরকারের মনোযোগ বিঘ্ন হচ্ছে বিধায় তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন।






