বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ফিলিপাইনের জনতা, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

টুইট ডেস্ক: বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প এবং প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের মিত্রসহ শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির জবাবদিহিতার দাবিতে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা তিন দিনের সমাবেশ ডেকেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) থেকে এটি শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি দেশটিতে দুই দফায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে সৃষ্ট বন্যায় ভুগতে হয় বাসিন্দাদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,সরকারি কর্মকর্তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করেছেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের ঘনিষ্ঠরাও জড়িত।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ফিলিপাইনে দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন নাগরিকরা। রোববারের কর্মসূচি সেই ক্ষোভের সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ। তিন দিনের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা দুর্নীতিবিরোধী বার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করছেন। বিকেলে বিক্ষোভের আকার আরও বড় হতে পারে।

পুলিশ বলছে, অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ‘ইগ্লেসিয়া নি ক্রিস্তো’ চার্চের সদস্য। এই চার্চের মুখপাত্র ব্রাদার এডউইন জাবালা বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির নিন্দা জানাতেই তারা জড়ো হয়েছেন। এখানে সারা দেশের মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা হচ্ছে।

এদিন ম্যানিলার উপশহর কেসন সিটিতে আরও কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ হওয়ার কথা। এ অবস্থায় সামরিক বাহিনী সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। আর পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য ১৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাণ হারান কমপক্ষে ২৫৯ জন। এরপর জনঅসন্তোষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রেসিডেন্ট মার্কোস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আসন্ন বড়দিনের আগেই কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।