আওয়ামী লীগের অনলাইন উপস্থিতি বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি

টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইট বন্ধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিটিআরসিকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

চিঠিতে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম ও এক্স (সাবেক টুইটার)সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্লক করার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১২ মে) একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের সভা-সমাবেশ, প্রচারকাজ এবং গণমাধ্যমে উপস্থিতি বন্ধ থাকবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধনও স্থগিত করেছে।

বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে অ্যাকাউন্ট ও লিংক ব্লক করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। তবে এ প্রক্রিয়া সহজ নয় বলেও সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “সরকার নিজস্বভাবে ওয়েবসাইট ব্লক করতে পারে, কিন্তু ফেসবুক বা ইউটিউবের কনটেন্ট সরানো বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরকারের নেই। এসবের জন্য প্ল্যাটফর্মগুলোকেই অনুরোধ করতে হয়, যারা তাদের নিজস্ব নীতিমালার আলোকে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ নেয়।”

মেটার সর্বশেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ২,৯৪০টি কনটেন্টে সীমিত প্রবেশাধিকার আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়া গুগলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো ৪৯০টি অনুরোধে মোট ৫,৮২৭টি কনটেন্ট অপসারণের কথা বলা হয়। তবে বছরের প্রথমার্ধে গুগল মাত্র ৬৮.২ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৪৫.৮ শতাংশ অনুরোধে ব্যবস্থা নেয়।