বাংলাদেশ-পাকিস্তান সামরিক সম্পর্ক জোরদারে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান পাকিস্তান সফরে রয়েছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির সেনাসদর দপ্তরে (জিএইচকিউ) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান (সিওএএস) জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির, এনআই (এম)-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই এই মর্মে একমত হন যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জরুরি। বহিঃশক্তির প্রভাব থাকা সত্ত্বেও এই সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে জোর দেন দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।

জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বলেন, “দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা অপরিহার্য। উভয় দেশের সেনাবাহিনী আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”

লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের নিরলস লড়াই এবং অসামান্য আত্মত্যাগকে সাহস ও দৃঢ় সংকল্পের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরায় চালু হয়েছে, যা সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে ভূমিকা রাখছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের সামরিক বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশেষ করে সামরিক সহযোগিতা ও যৌথ উদ্যোগ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তথ্যসূত্র: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআর এবং জিও নিউজ