দেশীয় ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেল শিল্পে কর বাড়ল, দাম বাড়ার শঙ্কা
টুইট ডেস্ক: খুচরা যন্ত্রাংশসহ ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার ও কম্প্রেসার তৈরির শিল্পে কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, খুচরা যন্ত্রাংশসহ সম্পূর্ণ ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, এসি এবং কম্প্রেসার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়কর হার এখন থেকে ২০ শতাংশ হবে। এতদিন এ খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ শতাংশ কর দিয়ে আসছিল।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা জানান, দেশীয় মোটরসাইকেল ও ইলেকট্রনিক্স খাতে বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে এবং উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিও করা হচ্ছে। কর রেয়াতের মাধ্যমে এ শিল্পগুলোকে উৎসাহিত করা হলেও বর্তমানে তারা স্বাবলম্বী হওয়ায় এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত কর্পোরেট কর হার ২০-২২ শতাংশ। দেশীয় শিল্প সুরক্ষার জন্য এ খাতে কম কর আরোপ করা হয়েছিল, যা এবার প্রত্যাহার করা হলো।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নতুন কর হার ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর হবে এবং ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এতে বেশ কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর অধীনে নিবন্ধন থাকতে হবে।
- নিজস্ব মোল্ড ও ডাইস তৈরির সক্ষমতা থাকতে হবে।
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্রিয় প্লান্টসহ নির্দিষ্ট অবকাঠামো থাকতে হবে।
বর্তমানে দেশীয় ফ্রিজ ও এসির বাজারে ওয়ালটন শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে এবং এসি উৎপাদনে শক্ত অবস্থান গড়ছে। মোটরসাইকেল উৎপাদনে হোন্ডা, টিভিএস, হিরো এবং রানারসহ কয়েকটি কোম্পানি উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগও রয়েছে।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর বাড়ানোর কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে, যা মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া উদীয়মান এসব শিল্পের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।