হাসপাতালে মরদেহ থেকে চোখ গায়েব, ইঁদুরকে দোষারোপ চিকিৎসকদের
টুইট ডেস্ক : রাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। আর পরদিন সকালে সেই মৃতদেহ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রোগীর স্বজনরা। অবশ্য ওই রোগীর মৃত্যু নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু রোগীর মৃত্যুর পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা।
অভিযোগ, মৃতদেহে একটি চোখ নেই, যা আগেরদিন রাতেও ছিল। আর এই ঘটনায় ছড়াল উত্তাপ। মৃতদেহের চোখ উধাও হওয়া দিনভর হাসপাতালে বিক্ষোভ করলেন রোগীর স্বজনরা। অবশ্য চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মচারীদের দাবি, মৃতদেহ থেকে একটি চোখ খুবলে নিয়েছে ইঁদুর!
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনায়। রোববার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সঙবাদমাধ্যম বলছে, বিহারের পাটনার নালন্দা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই যুবকের নাম ফান্টুস কুমার। তিনি গত ১৪ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার শরীরে গুলির ক্ষত ছিল।
আত্মীয়রা জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিরা গুলি চালিয়েছে ওই যুবককে লক্ষ্য করে। এরপর গত ১৫ তারিখ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় ওই যুবকের। পরে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে বলা হচ্ছে, শুক্রবার রাতে মৃত্যু হলেও মরদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো যায়নি। পরদিন সকাল পর্যন্ত আইসিইউ শয্যাতেই মরদেহ রাখা ছিল।
শনিবার সকালে যুবকের স্বজনরা মরদেহ নিতে এলে দেখা যায়, তার বাম চোখ নেই। রক্তাক্ত অবস্থায় রয়েছে অক্ষিকোটর। চোখ কোথায় গেল, তা নিয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন স্বজনরা। জবাবে হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, তার একটি চোখ খুবলে নিয়েছে ইঁদুর।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ অনেকে। তাদের দাবি, মৃত্যুর পর রোগীর চোখ কেটে বের করে নেওয়া হয়েছে। এক আত্মীয় দাবি করেছেন, ওই রোগীর শয্যার পাশেই তিনি অস্ত্রোপচারের ব্লেড পড়ে থাকতে দেখেছেন।
নালন্দা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
তার কথায়, “হয় কেউ ওই রোগীর চোখ কেউ কেটে বের করে নিয়েছে, অথবা ইঁদুর চোখ খুবলে নিয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এদিকে পুলিশও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেরক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।