মুন্সীগঞ্জে শেখ হাসিনা, ৩ এমপিসহ ৬১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

টুইট ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৬১৪ বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মন্সীগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুনুর রশিদ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় মন্সীগঞ্জ সদর থানা মামলাটি করা হয়। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট চত্বরে কৃষি ব্যাংকের সামনে গুলিতে নিহত ডিপজল সরদারের নানি শেফালি বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, ৩১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০০ শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, মন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনিছউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ ৩১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগের একদফা দাবিতে সুপার মার্কেট চত্বরে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। এ সময় মুন্সীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগরের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ডিপজলকে গুলি করা হয়। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগরে নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করতে করতে তারা সেই স্থান ত্যাগ করে। ডিপজল সরদার ওই ঘটনায় মারা যান। সে সময় কমপক্ষে আরও ৯০ জন গুলিবিদ্ধ হন।

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, ৩১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করি একটি হত্যা মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।