‘আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি একরাতে সবকিছু হারিয়েছেন’
টুইট ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদের অন্যতম প্রার্থী সায়মা ওয়াজেদ ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ উল্লেখ করে তার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অটিজম নিয়ে কাজ করা সায়মা ওয়াজেদ ভারতীয় ইংরেজি ভাষার সংবাদ চ্যানেল ডব্লিউআইওএন-এর কূটনৈতিক প্রতিবেদক সিধান্ত সিবালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার আসল লক্ষ্য থাকবে- মানসিক স্বাস্থ্য, যা অত্যন্ত অবহেলিত এবং বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এটিকে সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও নিশ্চিত করা।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিস ৬টি প্রধান আঞ্চলিক ইউনিটের মধ্যে একটি এবং ১১টি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে হওয়ায় তার রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবসময় জানি আমি কে এবং আমি জানি যে সবসময় তা মনে করিয়ে দেওয়া হবে, তবে আমি শরণার্থী হিসেবেও বেড়ে উঠেছি, আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি এক রাতে সবকিছু হারিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যখন খুব, খুব গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত সফল কারো কন্যা হন, তখন সবাই ধরে নেয় যে বিষয়গুলো আপনার পক্ষে অনেক সহজ হবে। তবে কঠোর পরিশ্রম না করলে আপনি সফল হতে পারবেন না।’
২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ডব্লিউএইচও সিইএআরও’র পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠিয়েছেন।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ থেকে মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও নেপাল থেকে মনোনীত ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ৭৬তম অধিবেশনে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের যোগ্য হবেন।