ট্রাম্পের উদ্যোগে পুতিন-জেলেনস্কি মুখোমুখি আলোচনার সম্ভাবনা
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনকে ফোন দেবেন ট্রাম্প
বিশ্ব ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সম্ভাব্য পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে আগ্রহী। ক্ষমতায় বসার আগে থেকেই যুদ্ধ বন্ধে তার সক্রিয় উদ্যোগের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রবার্ট উইলকি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিবিসির টুডে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ট্রাম্পের পেন্টাগন ক্ষমতা হস্তান্তর দলের প্রধান রবার্ট উইলকি জানান, ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ট্রাম্প পুতিনকে সরাসরি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাবেন। একই সঙ্গে তিনি জেলেনস্কিকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করবেন।
তিনি আরও বলেন, “যদি পুতিন এই আহ্বানে সাড়া না দেন, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের জ্বালানি শক্তি ব্যবহার করবে। ইউরোপে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ শুরু করা হবে এবং বৈশ্বিক তেলের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বৃদ্ধি করে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে।”
ট্রাম্পের শান্তি উদ্যোগ
ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে দাবি করেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরে আসার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সক্ষম হবেন। ইতিমধ্যে তিনি একটি প্রতিনিধিও নিয়োগ করেছেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের তৎপরতা শান্তি চুক্তির পথে অগ্রগতি আনতে পারে। তবে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান সময়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সবচেয়ে বড় সংকটগুলোর একটি। এই যুদ্ধের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি ও জ্বালানি সরবরাহে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শান্তি উদ্যোগ একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া সফল করতে মস্কো এবং কিয়েভের উভয় পক্ষের আন্তরিকতা এবং সমঝোতার প্রয়োজন।
সূত্র: বিবিসি