মার্চ ফর ফেলানী: নেতৃত্বে সারজিস আলম
টুইট ডেস্ক: কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম শাখা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়স্থ অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, কুড়িগ্রাম জেলা সংগঠক মুকুল মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ, সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ সাগর এবং মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, “কুড়িগ্রাম সীমান্তে ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার পর তার দেহ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, তা জাতির বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। সীমান্তে বিএসএফের এমন হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে আমরা জাতীয়ভাবে আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছি। ‘মার্চ ফর ফেলানী’ সেই আন্দোলনের সূচনা। এটি কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হলেও পরবর্তীতে জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে পালন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত নতজানু আওয়ামী সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ভারতের সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা যায়নি। তাই বর্তমান ছাত্র-জনতার সরকারের আমলে ফেলানী হত্যার বিচারসহ সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে আমরা সোচ্চার হয়েছি। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে এই ইস্যু উত্থাপন করে ভারতকে দাবি জানানো হবে।”
মার্চ ফর ফেলানী কর্মসূচি
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা কুড়িগ্রামে এসে পথসভাসহ আন্দোলন শুরু করবেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের সহযোগিতায় ভারতের সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার দাবিতে একটি জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হবে।
কর্মসূচি সফল করতে স্থানীয় ছাত্র-জনতা, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের সহযোগিতা কামনা করেন নেতারা।
কুড়িগ্রাম থেকেই এই ন্যায্য দাবির আন্দোলন শুরু হয়ে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।