রাজশাহী মেডিকেলে কেন পড়ে আছে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ওটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নবনির্মিত গাইনি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) ৩ মাস আগে উদ্বোধন হলেও তা এখনো চালু হয়নি।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম স্থাপনের অভাবে নতুন ওটি চালু না হওয়ায় পুরোনো ওটি দিয়েই কোনোরকম চলছে অস্ত্রোপচারের কাজ। বিদ্যমান ওটিতে কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন চিকিৎসকরা।

গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রোকেয়া খাতুন জানান, নতুন ওটি এখনো চালু হয়নি। আমরা পুরোনো ওটিতে কষ্ট করে কাজ করছি। এখন দিনে ৫০ থেকে ৬০টি অপারেশন করা হচ্ছে। আর নতুন ওটি চালু হলে সেখানে তিনটা প্রশস্ত অপারেশন রুম পাওয়া যাবে। তখন দৈনিক শতাধিক রোগীর অপারেশন করা সম্ভব হবে।

রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গাইনি বিভাগের আওতায় দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি অস্ত্রোপচার হয়। সেখানে একটি মাত্র ওটি হওয়ায় জরুরি ও জটিল সমস্যার রোগীদের অপারেশনের জন্য দীর্ঘ সিরিয়ালে থাকতে হয়। এ কারণে ২০২২ সালে আধুনিক সুবিধা সংবলিত নতুন একটি ওটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতালের নতুন গাইনি ওটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় ২০২৩ সালে জুলাইয়ে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের দিক থেকে অবকাঠামো নির্মাণসংক্রান্ত কোনো কাজ বাকি নেই। যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করবেন মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, নতুন ওটির জন্য আনীত অধিকাংশ সরঞ্জাম সেখানে ফেলে রাখা আছে। খোলা হয়নি অধিকাংশ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের প্যাকেট। ওটি চালু না হলেও নাম ফলক দিয়ে ২ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্ধোধনের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও ওটি চালু হয়নি। ফলে রোগীরা সার্জারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএমএ শামীম আহম্মেদ জানান, নতুন ওটির অবকাঠামোগত কাজটাই শেষ হয়েছে। ওটিটি চালুর জন্য নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দরকার। নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম প্রকিউরমেন্টের (আনয়ন) কাজ চলমান আছে। কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে তবে ওটিটি চালুতে হতে আরও দরকার। সেগুলোর চাহিদা পাঠানো হয়েছে। নতুন সরঞ্জাম পেলে ৭ দিনের মধ্যে ওটি চালু করা সম্ভব হবে।