মৌলভীবাজারে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২১ জন আহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় দুটি দিনের মধ্যে পাগলা কুকুরের কামড়ে অন্তত ২১ জন  আহত হয়েছেন। এই অস্বাভাবিক ঘটনা কুলাউড়া শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, কুকুলাউড়া পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার দিন পাগলা কুকুরের কামড়ে অনেকগুলি মানুষ আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে উপস্থিত আহতদের মধ্যে ছিলেন শিশু, কিশোর, যুবক, নারী এবং বৃদ্ধ।

আহতরা হলেন- কুলাউড়া পৌর শহরের মাগুরার আব্দুল ছামিদ (১৪), শিশু রাফিয়া (৪), রিয়াদ (১৯), রেল কলোনীর বাসিন্দা মিনারা বেগম (৫৭), পরিনগরের সায়েরা বেগম (৩৫), বিছরাকান্দির মামুনুর রশীদ চৌধুরী (৩৮),দতরমুড়ির মুস্তাফিজুর রহমান (৩৭), জয়চন্ডী ইউনিয়নের গিয়াসনগরের সাইফুর রহমান (৩০), ঘাঘটিয়ার খলিল মিয়া (৩৭), সাদিপুরের হানিফ মিয়া (৬০), ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের খুমিয়ার কাওসার মিয়া (১৯), হাজীপুর ইউনিয়নের সিয়াম (৯), কাদিপুর ইউনিয়নের তাসনিয়া (২১), গুপ্তগ্রামের সমিত চন্দ্র (২১), বরমচাল ইউনিয়নের একরামনগরের রহিম খাঁন (২০)। তাদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কুকুরের কামড়ে আহত পৌর শহরের উত্তর মাগুরা এলাকার হানিফ মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

কুকুরের কামড়ে আহত পৌর শহরের মাগুরার রিয়াদ (১৯) বলেন, বুধবার বিকেল ৩টায় বাসা থেকে বাজার করার জন্য বের হওয়ার সময় গেইটের সামনে হঠাৎ একটি পাগলা কুকুর আমাকে আক্রমণ করে। এসময় কুকুরটি আমার শরীরের পেঠে ও হাতে কামড় দেয়।

কুকুরের কামড়ে আহত ভূকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা নিমার আলী (৬০) বলেন, আমি বুধবার সকালে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়ে কুলাউড়া শহরে আসি। শহরে আসা মাত্র শহরের উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে নামামাত্র পাগলা কুকুর আমার পায়ে ও হাতে কামড় দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে আহত ২১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিনামূল্যে সরকারি রেবিশ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। দু’জনকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

পৌর মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কুকুর নিধনের কোনো সুযোগ নেই। তবে কুকুরের কামড়ানো রোগীদের সুস্থ করতে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হাসপাতালে আছে। পাগলা কুকুরটিকে শনাক্ত করে ধরার চেষ্টা চলছে।