ইলন মাস্কের সতর্কতা: এআই এবং ইভির দ্রুত প্রসার, বিদ্যুত সংকটের পূর্বাভাস

টুইট ডেস্ক: এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের ফলে, আগামী বছরে বিশ্বব্যাপী বিদ্যুতসংকট হতে পারে বলে মনে করেন টেসলা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। তার মতে, এআই প্রযুক্তি ও ট্রান্সফরমার সরবরাহে এআইয়ের সম্ভাব্য প্রভাব সহ বিদ্যুত খাত ও ট্রান্সফরমারগুলোতে সমস্যা হতে পারে।

ইলন মাস্ক সম্প্রতি এক সম্মেলনে এআই প্রযুক্তি এবং ইভির সাথে সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এবং এ ক্ষেত্রে স্বয়ক্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) এবং হিউম্যানোয়েড রোবট (মানবিক রোবট) নিয়ে তার মতে আরও উন্নতি হতে পারে। মাস্ক মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রতি ছয় মাসে ১০ গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি ভবিষ্যতেও এত উচ্চ হারে বৃদ্ধি পাবে না। তার মতে, এই উন্নতি প্রযুক্তি একদিন মহাবিশ্বের ভরকে ছাড়িয়ে যাবে। ভবিষ্যতে টেসলা কোম্পানি কী কী পরিবর্তন নিয়ে আসছে সেটির ইঙ্গিতও এই প্রশ্ন উত্তর পর্বে তুলে ধরেন।

মাস্ক আগামী বছরগুলোতে এআই ও ইভির চাহিদা মেটাতে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যাবে বলে পূর্বাভাস করেছেন, কিন্তু এই প্রযুক্তির বৃদ্ধি বৈদ্যুতিক অবকাঠামোকে চাপে ফেলতে পারে। মাস্ক সতর্কতা জানাচ্ছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এআই চিপগুলোর শক্তি দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের সরবরাহ অপর্যাপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমি এর (এআই) মতো আগে কিছু দেখেনি। চিপ সংগ্রহের হিড়িক এখন সোনার সংগ্রহের হিড়িকেও চেয়েও বেশি। আমি মনে করি আমরা সত্যিই সম্ভবত সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি।’

এআই প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক যানবাহনের দ্রুত বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে টেক বিলিয়নিয়ার বলেন, এটি অভূতপূর্ব হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বিগত বছরের নিউরাল নেট চিপগুলোর ঘাটতির কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, পরবর্তী সময়ে বাধা হবে স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ যা এআই সিস্টেমগুলোতে শক্তি সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয়। এআই ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) ওপর জোর দেন মাস্ক। কারণ উভয় প্রযুক্তিই বৈদ্যুতিক শক্তি ও ভোল্টেজ ট্রান্সফরমারের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দ্বারা উদ্ভাবন ও প্রসারের সম্ভাব্য প্রভাবে কেনার উপর ভিত্তি করে। এই মূল্যাংকনে টেসলা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মতো একজন বিলিয়নিয়ার ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিদ্যুত্সংকটের আগামী বছরের মুখে পড়ার আশঙ্কা উঠছে।