করোনা ভ্যাকসিনের প্রভাবে হৃদপিণ্ড ও রক্তে জটিলতা বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ছে

বিশ্বডেস্ক: করোনা ভ্যাকসিনের প্রভাবে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড ও রক্তে জটিলতা বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ছে, এটি নিয়ে একটি গবেষণা দেখা গেছে। এই গবেষণা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘ভ্যাকসিন’ প্রকাশ করেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, মধ্যে যারা ফাইজার-মডার্না বা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে মায়োকার্ডিটি নামে হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। এই সমস্যায় আক্রান্তরা হার্টের মাংসপেশির সার্বক্ষণিক প্রদাহে ভোগেন।

অন্যদিকে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে পেরিকার্ডিটি নামে একটি সমস্যা দেখা গেছে। এই সমস্যায় আক্রান্তরা হলে হৃদপিণ্ডের কার্ডিয়াক মাংসপেশিতে প্রদাহ হয়।

এই গবেষণার সাথে যুক্ত হয়ে ডাক্তার ক্রিস্টিনা ফেকসোভা বলেন, প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ সৃষ্টি হওয়া সহজ নয়, তাই টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করা দরকার যে, করোনা টিকাগুলো আরো নিরাপদ ও নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন।

এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডোজ করোনা টিকা ব্যবহার করা হয়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে। গবেষণার অন্যতম সদস্য জিভিডিভি বলেন, বিভিন্ন প্রান্তে টিকা নেওয়ার পর এসব সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া হয়েছে।

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ফাইজার-মডার্না ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজে মায়োকার্ডিটির ঝুঁকি ২ দশমিক ৯ গুণ বৃদ্ধি করেছে, যেখানে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজে পেরিকার্ডিটির ঝুঁকি বাড়ে ৬ দশমিক ৯ গুণ। এছাড়াও, অন্যান্য ভাইরাল-ভেক্টর করোনা ভ্যাকসিন এবং এমআরএনএ ভ্যাকসিনে রক্তে জমাট বেঁধে যাওয়া, গুলিয়ান-ব্যারে সিন্ড্রোম এবং মায়েলিটিসের মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে ২ দশমিক ৫ গুণ।

এই গবেষণা করার জন্য বিশ্বের ১৩টি দেশের ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছে গবেষণা দল। গত সপ্তাহে গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘ভ্যাকসিন’ ম্যাগাজিন। প্রবন্ধে গবেষকরা বলেছেন, এই ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মধ্যে যারা এমআরএনএ টিকা ফাইজার এন বায়োএনটেক কিংবা মডার্না টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তাদের একাংশ ইতিমধ্যে মায়োকার্ডিটি নামে হৃদপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সমস্যায় আক্রান্তরা হার্টের মাংসপেশির সার্বক্ষণিক প্রদাহে ভোগেন।

অন্যদিকে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে পেরিকার্ডিটি নামে একটি সমস্যা দেখা গেছে। এই সমস্যায় আক্রান্তরা হলে হৃদপিণ্ডের কার্ডিয়াক মাংসপেশিতে প্রদাহ হয়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ফাইজার এবং মডার্নার টিকার দ্বিতীয় ডোজ মায়োকার্ডিটির ঝুঁকি ২ দশমিক ৯ গুণ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় ডোজ পেরিকার্ডিটির ঝুঁকি ৬ দশমিক ৯ গুণ বৃদ্ধি করে।

এছাড়া, অন্যান্য ভাইরাল-ভেক্টর করোনা টিকা এবং এমআরএনএ টিকা ফাইজার-মডার্নার ডোজে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, গুলিয়ান-ব্যারে সিন্ড্রোম এবং মায়েলিটিসের মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে ২ দশমিক ৫ গুণ।

এই গবেষণার সাথে যুক্ত হয়ে ডাক্তার ক্রিস্টিনা ফেকসোভা বলেন, প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ সৃষ্টি হওয়া সহজ নয়, তাই টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করা দরকার যে, করোনা টিকাগুলো আরো নিরাপদ ও নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন।

এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা নেওয়া মানুষের পাশাপাশি বেশ কিছুই সমস্যা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য নিজেদের জীবনকে মোটামুটি পরিপূর্ণ অবলম্বন করে আসা ছিলেন নিখুঁত টিকার প্রত্যাশীদের। কিন্তু এখন সতর্কতা ও চিন্তায় জড়িত হয়েছে বাংলাদেশের অনেক মানুষের মনে, কারণ করোনা ভ্যাকসিনের প্রভাবে হৃদপিণ্ড ও রক্তে জটিলতা বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ছে বলে অন্যত্র দেশের গবেষণায় জানা গেছে।

গবেষণার প্রধান অধ্যাপক মেরেডিথ টেনসের বিশ্বাস, এই আবিষ্কার সম্পর্কে আমরা অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে, কেননা এটি করোনাভাইরাসের নিখুঁত টিকার জন্য মানুষের আশা ছিল।

এই সমস্যাগুলির চিকিৎসা ও নিরাময়ের জন্য প্রাথমিক ধারণা বিভাগীয় চিকিৎসা প্রদান করা উচিত, যেখানে প্রযোজনে নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের প্রতিসাদ সঠিকভাবে প্রদান করা হবে। এই অবস্থায় গবেষকরা টিকা উন্নীতকরণের জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছেন এবং নতুন প্রক্রিয়াসমূহ উত্থানের জন্য কাজ করছেন।

সংবাদের সূত্র: বিশ্বের অন্যতম ব্যহত বহুজাতিক সংস্থা গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডেটা নেটওয়ার্ক (Global Vaccine Data Network) এর গবেষণা প্রবন্ধ, প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘ভ্যাকসিন’ ম্যাগাজিনে। প্রবন্ধের শিরোনাম “Vaccine type and adverse effects associated with COVID-19 vaccination: A Global Vaccine Data Network analysis”.