বাংলাদেশের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে আরও ২টি রকেট লঞ্চার উদ্ধার করেছেন কৃষকরা

ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে আরও ২টি রকেট লঞ্চার উদ্ধার করেছেন কৃষকরা । ছবি : সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে আরও ২টি রকেট লঞ্চার উদ্ধার করেছেন কৃষকরা। এগুলো পাওয়া গেছে বিজিবির তুমব্রু বিওপি ক্যাম্প এলাকায়। এ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় রকেট লঞ্চার উদ্ধার করা হলো ৩টি। এছাড়া সীমান্তের লোকেরা ছোট-বড় অন্যান্য গোলা কুড়িয়ে পাচ্ছেন, যার সংখ্যা ২০টির অধিক।  উৎকণ্ঠায় ক্ষেত-খামারে যাচ্ছেন না কৃষক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি থেকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ২ সপ্তাহ ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চলছে। এ সময়ের মধ্যে অনেক গুলি, বড় আকারের মরণাস্ত্রের গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশে। এগুলো আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের লঙ্গন। এসব কাণ্ড কাণ্ড সরকার সমর্থিত বাহিনীর, নাকি বিদ্রোহীদের, তাও বলা মুশকিল।

সীমান্তে গুলি কুড়িয়ে পাওয়া তুমব্রু পশ্চিম কূলের রাজিয়া বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি তার ক্ষেত থেকে মচির তুলতে গেলে রকেট লঞ্চার পেয়ে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে বাড়ির সদস্যদের পরামর্শে রাস্তার ধারে রেখে আসেন।

অপর ২ কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা পৃথক স্থান ধেকে দুটি রকেট লঞ্চার পান। একটি নয়াপাড়ায়, অপরটি তুমব্রু পশ্চিম কূলে। এভাবে তুমব্রু, ঘুমধুম, জলপাইতলী, তেতুলতলী, তুমব্রু পশ্চিমকূলসহ ৬ কিলোমিটার সীমান্তে অসংখ্য গুলি ধান ক্ষেত, মরিচ ক্ষেত, বেগুন ক্ষেতসহ সীমান্তের সব ধরণের ক্ষেত-খামারে পড়েছে।

কৃষকরা আরও জানান, তারা ২ সপ্তাহ ধরে গোলাগুলির কারণে কৃষিক্ষেতের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছেন না। তারা অনাহারে-অর্ধহারে দিন যাপন করছেন। অনেকে ধার-কর্য করে দিন কাটাচ্ছেন।

ঘমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ৩টি গোলা (রকেট লঞ্চারের) পাওয়া গেলেও ১টি ধ্বংস করা হয়। বাকি দুটি ধ্বংস করার কথা থাকলেও বিকাল ৪ নাগাদ করা হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি ততো ভালো না। মানুষ দুশ্চিন্তায় আছে।