জিরোনাকে টপকে টেবিলের শীর্ষে রিয়াল
টুইট ডেস্ক : লা লিগায় এবারের মৌসুমের সবচেয়ে বড় চমকের নাম জিরোনা। যাদের সঙ্গে টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে ইঁদুর-বিড়াল দৌড় চলছে রিয়াল মাদ্রিদের। আরও একটি জয়ে গতকাল (শনিবার) লস ব্লাঙ্কোসরা জিরোনাকে পেছনে ফেলেছে।
লাস পালমাসের সঙ্গে প্রথমার্ধের পানসে পারফরম্যান্সের পর ভালো লড়াই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। যেখানে পিছিয়ে পড়েও কামব্যাকের গল্প লিখেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। তারা জয় পেয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
লা লিগার ম্যাচটি হয়েছিল লাস পালমাসের ঘরের মাঠে। যেখানে প্রথমার্ধে ছন্দ খুঁজে পায়নি সফরকারী রিয়াল। অবশ্য তাদের জন্য শেষ সময়ে ম্যাচ জমিয়ে গোল আদায় করে নেওয়াটা যেন রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে।
রিয়ালের হয়ে এদিন একটি গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ফরাসি ফরোয়ার্ড মিডফিল্ডার ওরেলিয়াঁ শুয়ামেনি। পালমাসের হয়ে একমাত্র গোলটি আসে জাভিয়ের মুনোজের পা থেকে।
রিয়াল ছন্দ খুঁজে পাওয়ার মিশনে ম্যাচের শুরুতেই দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল। ওয়ান-অন-ওয়ানে সুযোগ পেয়েও পালমাস গোলরক্ষকের দেয়ালে বাধা পান রদ্রিগো। এরপর দুই দলই খেলেছে ধীর গতির ফুটবল।
ফলে গোলের তেমন ভালো সুযোগ তো তৈরি হয়নি, উল্টো কয়েকটি হাফ-চান্স মিললেও দুই গোলরক্ষকের কাউকেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়নি। ম্যাচের ৩১ মিনিটে অবশ্য একটি পেনাল্টির আবেদন উঠেছিল রিয়ালের বক্সে। রেফারি ও ভিএআর কেউই সাড়া দেয়নি তাতে।
৩৬তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস কোনাকুনি শট নিলে, এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান পালমাস গোলরক্ষক। বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায় তার আরেকটি শট। ফলে গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে বল গড়ানোর মিনিট দশেকের মাথায় পালমাস প্রথম ডেডলক ভাঙে। মুনোজ নিখুঁত ছোঁয়ায় বল রিয়ালের জালে জড়ান। এর আগে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার অ্যান্টনিও রুডিগারের চ্যালেঞ্জ সামলে ছয় গজ বক্সের মুখে পাস দেন সান্দ্রো রামিরেস, তিনি বল বাড়ান মুনোজকে।
হতবম্ব রিয়াল অবশ্য কয়েক মিনিট বাদেই সমতা টেনে ফেলেছিল প্রায়। তবে দানি কারভাহালের সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের কাঁটায়। ৬৪ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিনিসিয়ুস।
পরে অবশ্য সেই ব্রাজিলিয়ানের অবদানেই এক মিনিট পর ম্যাচে ফেরে রিয়াল। মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার ডি-বক্সে বাড়ানো থ্রু বল বাঁ-পায়ের প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শট নেন ভিনি।
ম্যাচের বয়স আর ৬ মিনিট বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় আনচেলত্তির দলের। ৮৪ মিনিটে টনি ক্রুসের উড়ে আসা বল হেড দিয়ে শুয়ামেনি পালমাসের জাল কাঁপান। নিজের জন্মদিনটা রিয়ালের জয়ে রাঙিয়ে রাখলেন এই ফরাসি তারকা। ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
এ নিয়ে লা লিগায় টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল তারা, আর অপরাজিত রইল ১৫ ম্যাচ। ২১ ম্যাচে ১৭ জয় ও তিন ড্রয়ে শীর্ষে ওঠা রিয়ালের পয়েন্ট ৫৪। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে জিরোনা দুইয়ে আছে।