ডলারের দাম নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি

ছবি : সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক: নতুন মুদ্রানীতিতে সুদহার বাড়ানোর ফলে এখন ব্যাংক ঋণ নেওয়া আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হতে চলেছে । বাংলাদেশের বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির হারে লাগাম টানার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয়ার্ধের জন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার আরও এক দফা বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।

সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাত দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছিল।

বর্তমানে ডলারের বিনিময় মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘ক্রলিং পেগ’ নামে নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে।

‘ক্রলিং পেগ’ হচ্ছে দেশিয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি প্রচলিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়াও ক্রলিং পেগ মুদ্রার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, সাধারণত অবমূল্যায়নের হুমকির সময়।

‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে মুদ্রার দরের একটি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে জানুয়ারি-জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নতুন করে সরকার গঠনের পর প্রথম একটি মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষণাটি এমন এক সময়ে আসলো যখন মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভ সংকটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ চাপের মুখে রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

তাদের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবেই নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। এর আগে গত বছরের জুন মাসে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সুদহারের সীমা তুলে দেয়া হয়েছিল।