অ্যাটাক এয়ারক্রাফট প্রয়োজন ইউক্রেনের

ইউএস এ-টেন অ্যাটাক জেট। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক: ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বলেছেন, যুদ্ধের জন্য কিয়েভের আরও সামরিক বিমান প্রয়োজন। তাদের স্থল বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য ইউএস এ-টেন অ্যাটাক জেট এবং দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে এমন বিমান প্রয়োজন।

কর্নেল জেনারেল অলেক্সান্ডার সিরস্কি পশ্চিম রাশিয়ার সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলের একটি অজ্ঞাত স্থানে রয়টার্সকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিকল্প হিসেবে ‘এ-টেন’ নিয়ে কথা বলব, যদি সেগুলো আমাদের দেয়া হয়। এটি কোনও নতুন বিমান নয়, তবে একটি নির্ভরযোগ্য বিমান যা অনেক যুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করেছে এবং পদাতিক বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য স্থল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য এর বিস্তৃত অস্ত্র রয়েছে।’

এ-টেন থান্ডারবোল্ট আমেরিকা উৎপাদিত একটি সাবসনিক অ্যাটাক বিমান যা ১৯৭০ এর দশক থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আইনপ্রণেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কিয়েভের জন্য আমেরিকার সামরিক সহায়তার একটি বড় নতুন প্যাকেজ আটকে যাওয়ার পর সিরস্কি আরও বিমানের আহ্বান জানিয়েছে।

সিরস্কি বলেছেন, ‘এ-টেন’ বিমানটি স্থল বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেবে, কারণ তারা একটি সুসজ্জিত শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

সিরস্কি আরও বলেছে, ‘এএইচ-সিক্সটিফোর অ্যাপাচি’, ‘এএইচ-ওয়ান সুপার কোবরা’ এবং ‘ইউএইচ-সিক্সটি ব্ল্যাক হকে’র মতো অ্যাটাক হেলিকপ্টারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রথম ‘এফ-সিক্সটিন’ যুদ্ধবিমান ইউক্রেইনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও যুদ্ধে এর প্রভাব রাশিয়ার বিমান বাহিনীর শক্তির সামনে সীমাবদ্ধ হতে পারে।