ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে আমেরিকা-ইউকের যৌথ বিমান হামলা

ইয়েমেনের বাব আল মান্দাব প্রণালীতে আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজ। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ডেস্ক: আমেরিকা ও ইউকের বাহিনী ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে। আমেরিকা ও ইউকের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিষয়টি সিএনএনকে নিশ্চিত করেন।

আমেরিকা ও ইউকের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় হুথিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে আমেরিকা-ইউকের যৌথ বিমান হামলা বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফাইটার জেট ও টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করা হয়। সাবমেরিন ও বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ১২টির বেশি হুথি সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়।’

রেড সিতে বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের নিয়মিত আক্রমণের জবাব হিসেবেই এ আক্রমণ বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন আমেরিকান একজন কর্মকর্তা।

হুথিদের রেডার সিস্টেম, ‘ড্রোন স্টোরেজ ও উৎক্ষেপণ কেন্দ্র, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদে এ হামলা চালানো হয়েছে।’

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বলেন, ‘হুথিদের অবৈধ, বেপরোয়া ও বিপদজনক কার্যক্রম থামাতে ইরানকে ভূমিকা রাখতে হবে।’ ‘তারা সেটা করতে না পারলে ফল ভোগ করতে হবে।’

হুথির শীর্ষ নেতা আব্দুল মালেক আল হুথি হামলার পর বলেছেন, “ইয়েমেনের ওপর আমেরিকার আক্রমণের জবাব দেয়া হবে।”

কংগ্রেস সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা হামলা চালানোর আগে পরিকল্পনা নিয়ে কংগ্রেস সদস্যদের অবহিত করেন।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় হামাস সমর্থক গোষ্ঠীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু এবারই প্রথম ইয়েমেনে হামলা চালাল দেশটির সামরিক বাহিনী।

বাইডেন প্রশাসন হুথিদের আক্রমণ করা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ছিল। তাদের মতে হুথিদের ওপর হামলা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সৌদি আরব-হুথি যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।