মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

টুইট নিউজ ডেস্ক: মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে তিনি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পৌঁছান। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে সাভারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারেক রহমান। পরে সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্যাপক সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল থেকেই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে ও স্বাগত জানাতে নবীনগর থেকে শুরু করে স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক পর্যন্ত ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক জনারণ্যে পরিণত হয়।

হাতে ব্যানার, ফেস্টুন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহ স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হন নেতাকর্মীরা। ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, ফিরলেন এবার বাংলাদেশে’—এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। নেতাকর্মীদের এ বিপুল ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা জানান, দুপুরের পর থেকেই সাভার, ধামরাইসহ আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা এসে জমায়েত হতে শুরু করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত নজিরবিহীন জনসমাগম ঘটে, যা ঢাকাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে।

পরে রাজধানীর জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরেন। সেখানে আবেগঘন বক্তব্যে তিনি একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করেন, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।