অক্সফোর্ডে আজীবন সম্মাননায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ব্যারিস্টার

আইন ও মানবাধিকার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এই আইনজীবী।

শহীদুল ইসলাম: যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিশিষ্ট বাংলাদেশি আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদাপূর্ণ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (Law and Human Rights) অর্জন করেছেন।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবল কলেজে অনুষ্ঠিত ১৫তম ওয়ার্ল্ড লিডার্স সামিট ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিক, পেশাজীবী ও দাতব্য সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের হাতে ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদ তুলে দেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সংসদ সদস্য ভিরেন্দ্র শর্মা এবং অক্সফোর্ডের শিক্ষিত ও ছাত্রসমাজের পরিচিত মুখ মিস রুবি গ্রেঞ্জার।

এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল— “Empowering Visionaries, Transforming Tomorrow”। সম্মেলনে সৃজনশীলতার মাধ্যমে স্বাধীনতা, পরিচয় ও ঐতিহ্য গঠনে শিল্প ও সংস্কৃতির ভূমিকা, মানবিকতা ও ঐতিহ্যের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নির্মাণ, সহমর্মিতা ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার রূপান্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ও সফল পেশাজীবীরা মানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— পিটার জাস্টিন (যুক্তরাষ্ট্র), দলজিৎ বকশি (অস্ট্রেলিয়া), অধ্যাপক আদিনা তুলবুরে (যুক্তরাজ্য), ড. অ্যালান লারোসা (যুক্তরাষ্ট্র), কার্লা রুজ্জিয়েরো (ইতালি), অধ্যাপক ড. বিলি ট্যাং চি সেন (মালয়েশিয়া), মেঘলতা নাগরাজ (ভারত), প্রভাত রানাওয়ানা (সংযুক্ত আরব আমিরাত), আলেসিও ফিলিপেল্লি (ইতালি) এবং গোলাম কিবরিয়া (সিঙ্গাপুর)।

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ইংল্যান্ডের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী ব্যক্তি ও পরিবারকে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়নেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের সিভিল, ইমিগ্রেশন, মানবাধিকার, জুডিশিয়াল রিভিউ, আপিল ও পারিবারিক আইনের একজন বিশেষজ্ঞ। উচ্চ আদালতসহ বিভিন্ন স্তরের আদালতে অসংখ্য মামলা পরিচালনা করেছেন তিনি। বিশেষ করে ইমিগ্রেশন, আশ্রয়, মানবাধিকার ও নাগরিকত্ব আইনে তাঁর সাফল্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।

তার আইনি সহায়তায় হাজারো প্রবাসী যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন, যার ফলে তারা নিয়মিতভাবে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

এর আগে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিনে প্রভাবশালী ১০০ জন নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশির (এনআরবি) তালিকায় স্থান পান। এছাড়া তিনি হু’স হু বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ও দুবাইয়ের প্রফেশনাল সার্ভিস এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

আইন ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে তাঁর দীর্ঘদিনের অবদান এই আন্তর্জাতিক সম্মাননার মাধ্যমে আরও একবার বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পেল।