রাজশাহীতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২, ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’-এর অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।

আরএমপি জানায়, অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, বিস্ফোরণ ঘটানো ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরএমপির বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে আরও ১১ জনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রয়েছেন ৬ জন, মাদক মামলার আসামি ২ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৩ জন।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’-এ গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন হলেন— মো. নয়ন আলী (৩০), মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৬), আজিজুল ওরফে আইদুল (৫৩), মো. গোলাম রসুল (৫৭), মো. শহিদুল ইসলাম (৪৮) এবং মো. জিয়াউর রহমান (৪৫)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মো. নয়ন আলী রাজশাহী মহানগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বসুয়া গ্রামের যুবলীগ কর্মী। তিনি রাজপাড়া থানার বসুয়া মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও মৃত মন্টু আলীর ছেলে। মো. জাহিদুল ইসলাম শাহমখদুম থানার বড় বনগ্রাম কুচপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত শমসের আলীর ছেলে। তিনি আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। আজিজুল ওরফে আইদুল কর্ণহার থানার হুজুরিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত সাইফুদ্দিনের ছেলে। তিনি আওয়ামী সমর্থক হিসেবে পরিচিত। মো. গোলাম রসুল আওয়ামী লীগ কর্মী এবং মৃত মমিন মণ্ডলের ছেলে। হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মো. শহিদুল ইসলাম এবং একই এলাকার যুবলীগের সেক্রেটারি মো. জিয়াউর রহমান—দুজনই কর্ণহার থানার বাতাস মোল্লা এলাকার বাসিন্দা।

আরএমপি আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।