প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, আসিয়ান সদস্যপদ ও সরাসরি শিপিং রুট নিয়ে আলোচনা।

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত থিথিপর্ন চিরাসাওয়াদি রোববার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধি, সামুদ্রিক যোগাযোগ উন্নয়ন, অনলাইন প্রতারণা প্রতিরোধ, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ সম্প্রসারণের বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পায়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস থাইল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন এবং নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি আসিয়ান (ASEAN)–এ বাংলাদেশের সদস্যপদ অর্জনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই আঞ্চলিক জোটকে তিনি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। অধ্যাপক ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদ লাভের প্রচেষ্টায় থাইল্যান্ড সমর্থন দেবে। তিনি জানান, এরই মধ্যে বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ আরও জোরদার হবে।”

থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিথিপর্ন চিরাসাওয়াদি জানান, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী ব্যাংকক। এ ধরনের চুক্তি বাংলাদেশে থাই বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও জানান, থাইল্যান্ডের রানং বন্দর ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে একটি সরাসরি শিপিং রুট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের শিপিং কর্তৃপক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে আগামী মার্চ থেকে এ সেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আরও বেশি ভিসা ইস্যুর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা ও পর্যটনের উদ্দেশ্যে ক্রমেই বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করছেন।

সাক্ষাৎকালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।