ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬: তফসিল ঘোষণা, ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের গণভোটও একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
টুইট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ (১১ ডিসেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.এম.এম. নাসির উদ্দিনের মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্পূর্ণ তফসিল ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচন হবে ৩০০ আসনের জন্য এবং একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৭:৩০ থেকে বিকেল ৪:৩০ পর্যন্ত।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রস্তুতি ধাপে ধাপে হবে। ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে আচার-বিধি কার্যকর হবে। ২৫ ডিসেম্বর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবে, এবং ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও আপিল প্রক্রিয়া চলবে।
৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে এবং ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রচারণা শুরু হবে। ভোটগ্রহণের ঠিক একদিন আগে ১১ ফেব্রুয়ারি প্রচারণা শেষ হবে।
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, এবং ফলাফল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি। গণভোটের জন্য একই দিনের তফসিল থাকলেও ব্যালট আলাদা হবে।
মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ২৬ হাজার ৫২ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪০ লাখ এবং মহিলা ৬ কোটি ৩৫ লাখ। প্রবাসী ভোটার প্রথমবার ডাকযোগে ভোট দিতে পারবে; ইতিমধ্যে ৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি প্রবাসী নিবন্ধিত হয়েছেন। ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম নির্বাচনের ৫ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে চালানো হবে। ভোট গ্রহণের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বায়োমেট্রিক যাচাই ব্যবহার করা হবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ, তবে বিএনপি, জামায়াত-ই-ইসলামীসহ অন্যান্য দল অংশ নেবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার শান্তিপূর্ণ ভোট ও নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রবাসী ভোটারদের লজিস্টিকস এবং গণভোট পরিচালনা। এছাড়া, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমাবেশ সীমিত করেছে।
এটি শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, যা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে একটি বড় পরীক্ষা। এই নির্বাচন এবং গণভোট দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাইলফলক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভোটাররা ইসির ওয়েবসাইট (ecs.gov.bd) বা বিটিভি থেকে লাইভ আপডেট পেতে পারবেন।






