বান্দরবানে সেনা-বন-পুলিশ যৌথ অভিযানে অবৈধ কাঠ জব্দ

১০,০০০ সিএফটি অবৈধ কাঠ জব্দ হওয়া শুধু প্রশাসনিক একটি সাফল্য নয়, এটি বন রক্ষায় একটি দৃঢ় বার্তা।

অসীম রায় (অশ্বিনী), বান্দরবান: বান্দরবানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বন বিভাগের সমন্বয়ে ৫ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত একটি বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বান্দরবান জোনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন মেজর নাফিউ সিদ্দিকী রোমান, পিএসসি, উপ-অধিনায়ক, বান্দরবান সেনা জোন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বালাঘাটা, উজানি পাড়া ও নিউ গুলশান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় কাঠ চোরাচালান চক্র সক্রিয় ছিল। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী ৬টি কাঠ ডিপো ও ২টি স-মিলে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১০,০০০ সিএফটি অবৈধ কাঠ জব্দ করে, যা সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানে জব্দ হওয়া সবচেয়ে বড় চালানগুলোর মধ্যে একটি।

জব্দকৃত কাঠের মালিকপক্ষ কোনো বৈধ কাগজপত্র বা অনুমোদন দেখাতে ব্যর্থ হয়, যা তাদের অবৈধ কাঠ সংগ্রহ ও পরিবহনে জড়িত থাকার প্রমাণ দেয়। এরপর বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কাঠের প্রকারভেদ, মোট পরিমাণ ও আইনি বৈধতা যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। বর্তমানে আনুষ্ঠানিক জব্দ তালিকা প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং তা সম্পন্ন হলে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “পরিবেশ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আমরা সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কাঠ চোরাচালান ও বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বন বিভাগের সমন্বয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে।”

অভিযানের ফলে বান্দরবানের অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ সেনাবাহিনীর এই কঠোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।