বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া: প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন যুগ

বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: কেএআই’র জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে এএফডি’র উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের বিমান ও নৌ বাহিনী আধুনিকায়নের এক নতুন অধ্যায় সূচিত হতে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিমান ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (কেএআই)-এর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস লিডার ও জেনারেল ম্যানেজার মি. বিয়ং হাক হান আজ মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন।
বৈঠকে কমডোর মোহাম্মদ মহব্বত আলী, এনইউপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন-এর নেতৃত্বে এএফডি’র প্রতিনিধি দল কেএআই’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা শিল্পে অংশীদারিত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এই বৈঠকটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর জন্য কেএআই’র এফএ-৫০ লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট, টি-৫০আইকিউ অ্যাডভান্সড ট্রেইনার, কেইউএইচ-১ সুরিওন হেলিকপ্টার এবং ভবিষ্যতে কেএফ-২১ বোরামে ফাইটার প্রোগ্রামে সম্ভাব্য অংশগ্রহণ সংক্রান্ত চলমান উচ্চপর্যায়ের আলোচনার ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে কেএআই’র প্রতিনিধি দল ঢাকায় সফর করেছে, এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিউলে কেএআই’র সাচিয়ন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছেন।
কেএআই এফএ-৫০ বিমান
কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (কেএআই) দ্বারা উৎপাদিত এফএ-৫০ (FA-50) হলো একটি হালকা যুদ্ধবিমান (Light Combat Aircraft), যা টি-৫০ (T-50) গোল্ডেন ইগল অ্যাডভান্সড জেট ট্রেইনারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনীর (ROKAF) জন্য ডেভেলপ করা হয়েছে, কিন্তু এখন এটি মাল্টিরোল লাইট ফাইটার হিসেবে বিশ্বব্যাপী রপ্তানি হচ্ছে।
এফএ-৫০-কে “গ্যাপ-ফিলার” হিসেবে দেখা হয়, যা সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তি প্রদান করে এবং এফ-১৬-এর মতো বিমানের প্রতিস্থাপন করে। এটি লকহিড মার্টিনের সহযোগিতায় তৈরি, এবং এর দাম প্রতি ইউনিট ৩০-৪০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এটি আজ (২৫ নভেম্বর ২০২৫) কেএআই’র জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে এএফডি’র বৈঠকে আলোচিত হয়েছে, যা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সম্ভাব্য অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং স্থানীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।








