হামাসের প্রতিক্রিয়া অমীমাংসিত: গাজায় বাহিনী পাঠানো হবে

- সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
- তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ন্যায্য প্রতিরোধ এবং অস্ত্র ছাড়বে না।
বিশ্ব ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং উপত্যকায় স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন সম্পর্কিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার অনুমোদিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপের অংশ, যা গাজায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি গাজায় অন্তর্বর্তীকালীন শাসন কর্তৃপক্ষের বৈধতা নিশ্চিত এবং সেনা মোতায়েনে আগ্রহী দেশগুলোকে পুনরায় আশ্বস্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা উপত্যকায় অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ, সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস এবং নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে। এছাড়া, গাজার পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তীকালীন শাসন কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন “বোর্ড অব পিসে” অংশ নিতে পারবে।
তবে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা তাদের অস্ত্র ছাড়বে না, কারণ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ন্যায্য প্রতিরোধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, হামাসের এই অবস্থান শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
জাতিসংঘের অনুমোদিত এই প্রস্তাব গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকার সূচনা হলেও, বাস্তবায়নে অন্তর্ভুক্ত পক্ষগুলোর স্বার্থ ও প্রতিক্রিয়া প্রক্রিয়াটিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।






