শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার আগে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জারি

সারাদেশে টান টান উত্তেজনা: রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে
টুইট ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (আইসিটি-১) আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন-এর বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করবে। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয়েছে, যা দেশব্যাপী রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া, সেনা ও বিজিবি মোতায়েন
আইসিটি-১ এর রায়ের আগে সারাদেশে উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুরসহ সংবেদনশীল এলাকায় বিজিবি ও পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গৃহকার্য দপ্তরের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, “অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটতে দেব না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
ঢাকার আইসিটি ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা জাল বিছানো হয়েছে। বাংলাদেশ টিভি ও অন্যান্য চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সকাল থেকেই রাজধানীতে যানজট কম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং পরিবহন সীমিত। আওয়ামী লীগের ডাকা “কমপ্লিট শাটডাউন” এবং চার দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচির কারণে সাধারণ জীবন প্রভাবিত হয়েছে।
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, এখন বিচারের নামে প্রতিহিংসা চলছে।” তিনি মুহাম্মদ ইউনূসকে “গণহত্যার নায়ক” বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করতে তিনি ভারতের মিডিয়ার সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, “এমন একজন অভিযুক্তকে আশ্রয় দেওয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।”
মামলার ও সম্ভাব্য ফলাফল
মামলাটি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে নিহতের অভিযোগ নিয়ে দায়ের। আইসিটি-১-এ ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
আইসিটি প্রথম গঠন হয় ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, তবে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত হয়েছে।






