মুক্তাগাছায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৩ যুবক কারাগারে

টুইট ডেস্ক: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসী গত বুধবার রাতে ৩ অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন- উপজেলার ধিতুয়া গ্রামে রমেশ চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দে (১৯), চাপুরিয়া গ্রামের খাইরুল হকের ছেলে রোমান মিয়া (২৩) ও আব্দুর রহিমের ছেলে এমরান হোসেন (৩২)। এদিকে অপর অভিযুক্ত চাপুরিয়া গ্রামের আমির হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। গত মঙ্গলবার ওই কিশোরী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তাগাছায় বাস থেকে নামে। পরে অটোরিকশা করে পদুরবাড়ী বাজারে নেমে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে যেতে থাকেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশী পংকজ দের সাথে দেখা হয়। পংকজ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবার কথা বলে একটি অটোরিকশাতে তুলে নেয়। পরে তাকে অটোরিকশায় করে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে চাপুরি গ্রামের একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে পংকজ ও তার তিন সহযোগী অটোচালক রোমান মিয়া, আমির হোসেন এবং এমরান মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, পঙ্কজ তার এলাকার হওয়ায় পরিচিত ছিলো। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে সে তাতে রাজি হয়। কিন্তু তাকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ধর্ষণ করে ভোরে একটি ফিসারির পাড়ে ফেলে যায়। পরে সকালে লোকজন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

এদিকে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী মিলে বুধবার রাত ১০টার দিকে তিন ধর্ষককে ধরে বেঁধে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, কিশোরীর বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷ কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।