রাজশাহীতে উচ্ছ্বাস: মিনু-মিলনের মনোনয়ন — ঐক্যের ঘোষণা

বিএনপি রাজশাহী জয়যাত্রা: মিনু-মিলনকে মনোনয়ন—“ষড়যন্ত্র রুখে দেবো” শপথ
রাজশাহী মহানগরীতে আনন্দ।
টুইট প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে সাবেক সিটি মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এবং রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়ায় মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকালে রাজশাহী মহানগরের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও পবা-মোহনপুরের নেতাকর্মীরা মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
বাটার মোড় থেকে শুরু হয়ে মালোপাড়া, সোনাদিঘী মোড়, মনি চত্বর, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট হয়ে গণকপাড়া পর্যন্ত মিছিলটি চলে এবং পুনরায় বাটার মোড়ে এসে শেষ হয়ে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শত শত নেতাকর্মী অংশ নেয় এবং তারা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃত্বের মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়ে বক্তারা বলেন, রাজশাহী-৩ আসনে জনপ্রিয় নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে প্রার্থী করায় কিছু অসাধু মহল ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু করেছে। তিনি মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি, সাবেক বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও মহানগর বিএনপির তিনবারের সফল সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক।
বক্তারা বলেন, মিলন ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছেন এবং রাজশাহী মহানগর ও পবা-মোহনপুরবাসীর কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। “মিলন ও তারেক রহমানকে নিয়ে যে কোনো ধরনের বাজে মন্তব্য বা কটুক্তি রাজশাহীবাসী কখনই সহ্য করবে না,” বক্তারা জোর দেন।
বক্তারা আরো বলেন, যারা মিলনকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা মহানগর ও পবা-মোহনপুরে অচেনা; কেউ তাদের চেনে না। তারা তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে দলের কর্মীরা দাঁতভাঙা জবাব দেবে। একই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়, কিছু নেতা কেন্দ্রীয় এক নেতার নির্দেশে এসব বিভেদ ছড়াচ্ছে—এমন প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
স্থানীয় ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং মনোনীত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে।
অপরদিকে বিএনপি’র রাজশাহী-২ মনোনীত মিজানুর রহমান মিনু সম্পর্কে বক্তারা বলেন, মিনু দীর্ঘ সাত সালেরও বেশি সময় এই আসনের সংসদ সদস্য ও মেয়র ছিলেন এবং রাজশাহীর উন্নয়নের অন্যতম রুপকার। বক্তারা তুলে ধরেন, মিনু রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ ও স্টেশনসহ শহরের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পরিচিত। সাম্প্রতিক কালে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন উল্টোপাল্টা মন্তব্য ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে—এ বিষয়ে দলীয় নেতারা সতর্কতামূলক সতর্কবার্তা দেন এবং এসব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণা দেন। বক্তারা বলেন, “মিনুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান থাকলে তা সইব না; না হলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেওয়া হবে”—এমন কড়া ভাষায় তারা সতর্ক করে বলেন।
সমাবেশে মিতাহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলী সভার সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (সুইট)। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খাজদার আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, মহানগরীর ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী শহিদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা প্রমুখ।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়।
রাজশাহী-২ ও রাজশাহী-৩ আসনে মনোনীত মিনু-মিলনকে লক্ষ্য করে চলমান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে মোকা
সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিজয় প্রত্যয়ের সঙ্গে পুনরায় মিছিল করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য এবং রাজশাহীতে বিভাজন সৃষ্টিকারী কার্যকলাপ কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।






