আইএমএফকে বাংলাদেশ: সমস্যা নয়, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ছি

বাংলাদেশে আইএমএফ রিভিউ টিমের সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সংস্কার অগ্রগতি, বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রিভিউ টিমকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে— “আমরা সমস্যা পরবর্তী সরকারের কাছে ঠেলে দিতে চাই না; বরং দিতে চাই একটি শক্তিশালী ভিত্তি ও টেকসই প্ল্যাটফর্ম।”

সরকারের অর্থনৈতিক টিমের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এ বৈঠকে শুধু ম্যাক্রো অর্থনৈতিক ভিত্তি ও রাজস্ব কাঠামো নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, আন্তঃসংস্থাপন সমন্বয় এবং বিনিয়োগকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নয়নের ওপরও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আইএমএফকে আমরা বলেছি: সমস্যা নয়, পরবর্তী সরকারকে একটি শক্ত প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই।

৩১টি সংস্কার, ২১টি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন

সরকার আইএমএফ দলকে জানিয়েছে যে, গত ১২ মাসে মোট ৩১টি নির্দিষ্ট ব্যবসাবান্ধব সংস্কার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২১টি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে—বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, শুল্ক কার্যক্রম সহজীকরণ, একাধিক সংস্থার অনুমোদনকে একক জানালা (single window) পদ্ধতিতে আনা, এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রক্রিয়া উন্নত করা।

এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য দেশীয় ও বৈদেশিক উভয় বিনিয়োগকারীর জন্য ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ঘর্ষণ ও জটিলতা কমানো।

বিদেশি বিনিয়োগে ১৯% প্রবৃদ্ধি: আইএমএফের স্বীকৃতি

বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রশংসা করে জানায়, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ১৯.১৩% বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবৃদ্ধি একটি “উল্লেখযোগ্য অর্জন”।

আইএমএফ টিম মন্তব্য করে, “এটি প্রমাণ করে যে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের নতুন সংস্কারধারার ওপর আস্থা রাখছেন।”

প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারই টেকসই উন্নয়নের মূল

সরকারি এক কর্মকর্তা বৈঠক শেষে বলেন, “আমরা স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব লক্ষ্যের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রাতিষ্ঠানিক স্থায়িত্বকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। নীতি ও বাস্তবায়নের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল, তা আমরা দ্রুত কমিয়ে আনছি।”
তিনি আরও জানান, আগামী অর্থবছরে ব্যবসা পরিবেশে আরও ১৫টি নতুন সংস্কার পরিকল্পনা যুক্ত হবে, যা বিশ্বব্যাংকের Ease of Doing Busin

শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা

এই বৈঠককে বাংলাদেশ-আইএমএফ অংশীদারিত্বের নতুন ধারা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি কাঠামোগত রূপান্তর এবং প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।