অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
টুইট ডেস্ক: কেরালার সবরিমালায় যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বহনকারী হেলিকপ্টার।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেডিয়ামের নতুন তৈরি হেলিপ্যাডে নামতে গিয়ে হেলিকপ্টারের চাকা কংক্রিটের দুর্বল অংশে আটকে যায়। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অবতরণের পর অতিরিক্ত ভারে ভেঙে যায় হেলিপ্যাডের একাংশ। এই অবস্থায় বেসামাল হয়ে পড়ে কপ্টারটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ কাজে নামে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। দীর্ঘ চেষ্টায় হাত দিয়ে ঠেলে কপ্টারটি ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার জেরে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটি। ঘটনাটি বুধবার সকালবেলা ঘটে। রাষ্ট্রপতি মুর্মু তখন শবরীমালার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রস্তুতিতে। শেষ মুহূর্তে বদলানো হয়েছিল অবতরণের স্থান।
জানা গেছে, মূলত নীলাক্কাল এলাকাতেই রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণের পরিকল্পনা ছিল। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে, শেষ মুহূর্তে তা বদলে প্রমাদমের রাজীব গান্ধী ইনডোর স্টেডিয়ামকে বেছে নেয়া হয়। তাই মঙ্গলবার গভীর রাতেই তড়িঘড়ি করে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়।
জেলার এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, কংক্রিটটি পুরোপুরি জমে ওঠেনি। ফলে চাকার নিচে মাটি বসে গিয়ে ছোট গর্ত তৈরি হয়।
একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে দেখা যায়, হেলিকপ্টার অবতরণের পর তার চাকা আংশিকভাবে কংক্রিটে বসে গিয়েছে এবং একাধিক পুলিশ, দমকল ও নিরাপত্তাকর্মীরা ঠেলে সেই চাকা গর্ত থেকে বের করে আনছেন। এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছে রাষ্ট্রপতির মতো ব্যক্তির সফরের নিরাপত্তা নিয়ে।
যদিও আবহাওয়ার কারণেই এই হেলিপ্যাডে অবতরণ বলে দাবি করেছে প্রশাসন। তবে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতির প্রশ্নে গাফিলতি ছিল কিনা, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তে রাতারাতি তৈরি করা একটি কংক্রিট হেলিপ্যাড রাষ্ট্রপতির মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য আদৌ উপযুক্ত ছিল কিনা, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে রিপোর্ট চাওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
অপরদিকে, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।