ডাকসু-চাকসু-জাকসুর প্রভাব রাকসুতে পড়বে না: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবির

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ডাকসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাকসু) নির্বাচনের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী শেখ নুর উদ্দীন আবির।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেছা হলের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আবির বলেন, ‘আমরা আশা করছি রাকসু নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, বিতর্কহীন ও প্রশ্নাতীত। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল-আমরা চাই আমাদের ক্যাম্পাসে যেন এমন কিছু না ঘটে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘রাবিয়ানরা স্বাধীনচেতা শিক্ষার্থী। তারাই ঠিক করবেন তাঁদের প্রতিনিধিত্ব কারা করবেন। শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমেই প্রকৃত ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।’

রাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাকসুর ২৩টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩০৫ জন। সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৮ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে মোট ২৫৫টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫৫৫ জন। সব মিলিয়ে মোট প্রার্থী ৮৬০ জন।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। প্রত্যেক ভোটারের জন্য সমসংখ্যক ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। এর মধ্যে নারী ভোটার ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটার ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ।

ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১২ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রে আছেন ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ফলাফল প্রস্তুতের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সুদীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। রাকসু নির্বাচন আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের প্রতীক। এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও দায়িত্ববোধ গঠনের এক অসাধারণ সুযোগ এনে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। এজন্য প্রতিটি ধাপে নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরো ভোট প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং ব্যবহৃত হবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স।’