চাকসু: আঙুলের অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল-শিবিরের ভিপি প্রার্থীর
টুইট ডেস্ক: ৩৫ বছরের বেশি সময় পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার আমেজ দেখা গেলেও, ভোটারদের আঙুলে দেয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এতে জাল ভোটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীরা।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুই দলের ভিপি প্রার্থী এ অভিযোগের কথা বলেন।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী বলেন, ভোট দিয়েছি কিন্তু হাতে কোনো অমোচনীয় কালি নেই। এই কালিটা মুছে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনারকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম, যাতে কেউ একাধিক ভোট প্রয়োগ করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, এখানে জালভোট পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, সেই ফলাফল আমরা মেনে নেব। তবে আমাদের বারবার দাবি ছিল—একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে কালি দেয়া হবে, সেটা যাতে মুছে না যায়। কারণ যখন কালি মুছে যায়, তখন সেই ভোটার একাধিক ভোট দিতে পারেন।
ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী বলেন, ভোটের পরিবেশ খুব ভালো। মাত্র ভোট দিয়ে বের হয়ে আসলাম। আসার পরে আপনাদের সামনে (সাংবাদিক) মুছছি। এই কালিটা মুছে যাচ্ছে। এই কালিটা কিন্তু মুছনীয় নয়। আমরা বলেছিলাম একটা অমোচনীয় কালি যেন ব্যবহার করা হয়। প্রশাসন এ ব্যাপারে কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে, আমি জানি না। ভোটারদের শঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সাংবাদিকদের চোখ-কান খোলা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
এবার ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ১১ হাজার ১৫৬। নির্বাচনে লড়তে প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬ পদে লড়ছেন ৪১৫ প্রার্থী। একই সঙ্গে ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেলে প্রার্থী হয়েছেন ৪৯৩ জন।
কেন্দ্রীয় সংসদে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন ও সহসাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অভিযোগগুলো নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, সিইসি দাবি করেছেন যে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তবে প্রার্থীদের অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে ফলাফল মেনে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক দেখা দিতে পারে। ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তারা প্রতিবাদ করবেন।
এই নির্বাচন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে, কিন্তু কালির সমস্যা এর ছায়া ফেলেছে। পরবর্তী আপডেটের জন্য ক্যাম্পাসের ঘটনাপ্রবাহ নজরে রাখা হচ্ছে।