ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে আনিসুল, পলক, দীপু মনিসহ ৪৫ আসামিকে
টুইট ডেস্ক: জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক, দীপু মনি সহ সাবেক ১০ মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সচিব এবং সাবেক সাংসদসহ মোট ৪৫ আসামিকে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ট্রাইব্যুনাল-২-এ এসব মামলার শুনানি হবে। তাদের বিরুদ্ধে আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত থাকলেও, প্রসিকিউশন সময় আবেদন করতে পারে।
অপরদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১-এ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরবেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
গতকাল দিনভর এই মামলার শুনানিতে দালিলিক প্রমাণ, ‘প্লেস অব অকরেন্স’, গণহত্যার বিস্তার, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ভূমিকা এবং জুলাইয়ের ধারাবাহিক ঘটনাক্রম তুলে ধরা হয়। প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি অভিযোগ উপস্থাপন করেছে।
এছাড়া আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ।
ICT ২০১০ সালে শেখ হাসিনাই গঠন করেন, মূলত ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধের জন্য। কিন্তু ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটিকে পুনর্গঠিত করে হাসিনা-সরকারের অপরাধের তদন্তের জন্য ব্যবহার করছে। এতে ৬০+ অভিযোগ দায়ের হয়েছে, এবং ১০০+ গ্রেপ্তার হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হতে পারে, কিন্তু প্রসিকিউটররা জোর দিচ্ছেন যে, এটি ন্যায়বিচারের জন্য। জাতিসংঘের প্রতিবেদনও এই অপরাধগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আজকের শুনানি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক, যা গণতন্ত্র এবং ন্যায়ের পরীক্ষা।