মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স আজ থেকে মাঠে নামছে

টুইট ডেস্ক : জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিকটস্থ হয়ে আসায় সশস্ত্র বাহিনীদের সদস্যরা আজ (২৯ ডিসেম্বর) মাঠে নামছে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসার সদস্যরা নিয়েজিত থাকবেন। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য মাঠে নামছে এই মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।

সূত্র জানায়, ভোট গ্রহণের দুই দিন পর অর্থাৎ আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন তারা মাঠে থাকবেন। তবে সশস্ত্র বাহিনী ৩ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।

এদিকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে ইসি।

ম্যাজিস্ট্রেটরা ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনি দায়িত্বে থাকবেন। ইসি সূত্র জানায়, জনপ্রশাসনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে দেওয়া চিঠিতে আরও বলা হয়, ৮ বিভাগে ১ হাজার ১৬২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য মোবাইল কোর্টে নিয়োজিত ৭৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। ৮টি বিভাগে অতিরিক্ত আরও ১ হাজার ৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন । আগামী ৫-৯ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন অতিরিক্ত ১৯০৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ।

১ হাজার ৯০৪ জনের মধ্যে, ঢাকা বিভাগে ৩৮৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৮৩ জন ও রংপুর বিভাগে ২৮২ জনের চাহিদা দিয়েছে ইসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ১৬২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। এর মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন দেখভালে রয়েছেন ৭৫৪ জন।

আজ (২৯ ডিসেম্বর) থেকে ‘বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন’ মোবাইল ও স্ট্রইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নামছে। তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশে কাজ করবে। নির্বাচনে ‘ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুলনার’ ৪৩টি উপকূলীয় ইউনিয়নে কোস্টগার্ড মোতায়েন হচ্ছে।

আগের নির্বাচনের মতো এবারও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ‘‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার”-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নামানো হচ্ছে। তারা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করবে।

প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করবে সশস্ত্র বাহিনী।

আপাতত জেলা, উপজেলা ও থানার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতে অবস্থান করবে। সেনা সদস্যরা রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের ভেতর বা ভোটগণনা কক্ষে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন করা হবে।

আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি দেশের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী। উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

“২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৮৯টি উপজেলায় ৩০ সদস্য সম্বলিত মোট ৪১৪ সেনা প্লাটুন মোতায়েন করা হয়। এছাড়া সেই সময়ে ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮টি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়।”

“২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়।”