চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তার ১৬ বছর কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

টুইট ডেস্ক: চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সান গুওফেং ১৬ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন দুর্নীতির দায়ে। দেশটির গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ খবর বলা হয়েছে।

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সান গুওফেং দুর্নীতির দায়ে পড়েছেন। তিনি ৩০ লাখ ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছেন এবং কারাদণ্ডিক শাস্তি পেয়েছেন। একই সঙ্গে তার কোম্পানি একটি অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার করে স্টক মার্কেটে লাভ করার অভিযোগেও সাজা দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পিপলস ব্যাংক অব চায়নার মুদ্রানীতি বিভাগের সাবেক প্রধান সান গুওফেংকে ১৬ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি ৩০ লাখ ডলার ঘুষের বিনিময়ে তথ্য শেয়ার করেছেন।’ প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে প্রকাশিত একটি নথিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চীনের ফাইন্যান্সিয়াল নিউজ সাইট কাইক্সিন জানিয়েছে, ‘স্টক মার্কেটে লাভের জন্য সাংহাই তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তথ্যও ব্যবহার করেছেন সান গুওফেং।’

৫১ বছর বয়সী এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘‘শৃঙ্খলা ও আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের’’ সন্দেহে গত বছর তদন্ত করা হয়।

কাইক্সিন ও কয়েকটি চীনা মিডিয়া বৃহস্পতিবার বিচারিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, সান গুওফেংকে ১৬ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

‘চীনে এই ধরণের মামলার জন্য সবচেয়ে কঠিন সাজা এটি। আর সাজাটি এমন এক সময় দেওয়া হয়েছে যখন চীনের আর্থিক খাতকে স্বচ্ছ রাখতে দেশব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।’

‘চীনে যাদের তদন্তের অধীনে রাখা হয় তারা সাধারণত দোষী সাব্যস্ত হয়। ‍গত মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না সিটিক ব্যাংকের সাবেক সভাপতি সান দেশুনকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সম্পত্তি অবৈধভাবে গ্রহণ করার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।’

এছাড়াও নভেম্বরে কমিউনিস্ট পার্টি ঘোষণা করেছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না (আইসিবিসি)-এর সাবেক ভাইস চিফ ঝাং হংলির বিরুদ্ধেও সন্দেহভাজন দুর্নীতির তদন্ত চালানো হয়েছে। এটি চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বৃহত্তম ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি।

এছাড়াও চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং জায়ান্ট এভারব্রাইট গ্রুপের সাবেক প্রধান লি জিয়াওপেংকে অক্টোবরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’

‘শি এক দশক আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গভীরভাবে গেঁড়ে বসা সরকারি অফিসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। সমর্থকরা বলছেন, নীতিটি পরিচ্ছন্ন শাসনের প্রচার করে। অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, এটি শিকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্মূল করতে সহায়তা করবে।