নভেম্বরেই গণভোটের কথা বলছে জামায়াত

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নভেম্বর মাসে গণভোট চেয়েছে । এছাড়া দলটির পক্ষ থেকে পিআর পদ্ধতিতে (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) সংসদ নির্বাচনের জন্যও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রস্তুতি রাখতে বলেছে ।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন,আমরা অবশ্যই গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চাচ্ছি; আমরা নভেম্বরে গণভোট করার জন্য বলে আসছি। আমাদের অতীতে অনেক গণভোট হয়েছে এবং সেখানে দেখা গেছে যে, ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, ১০ দিনেও হয়েছে, ১৭ দিনেও হয়েছে।

তিনি বলেন,`আমাদের কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয়ে যায়, তাইলে গণভোট আবার অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এজন্য আমরা মনে করি, একটা সহজতর নির্বাচন (গণভোট), যাতে আমরা এখানে অভিজ্ঞতা নিতে পারি। এক্সপেরিমেন্ট নিতে পারি যে,কীভাবে পুলিশ সহযোগিতা করে।’

জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘গণভোট নিয়ে দুটি আলোচনা আছে। সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপারে কোনো কোনো দলের মত আছে। আমরা বলেছি আলাদা করার জন্য, যেহেতু আলাদা বিষয়। যদি আলাদাভাবে হয় এটার জন্য প্রস্তুতি যেন রাখে।

এছাড়াও তিনি বলেন, ‘বৈঠকে পিআর (সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন) নিয়ে কথা বলেছি। বর্তমান পদ্ধতিতে ৫৪ বছরে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করে নাই। এতে দিনের ভোট রাতে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দুইটি পদ্ধতির প্রস্তুতির কথা বলেছি।’

লটারিতে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের বিষয়টি যেন লটারির মাধ্যমে হয়,যাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে। সরকার বলেছে, তারা সেইভাবে করবে। আমরা জোর দিয়েছি যেন এটা বাস্তবায়িত হয়। নির্বাচন তারিখ ঘোষণা হলে এটি কমিশনের অধীনে চলে আসবে। আমরা অনুরোধ করেছি যেন তারা একই পদ্ধতি অনুসরণ করেন।’