বিএনপির নতুন ডাক: সেনাদের সম্মান ফিরিয়ে আনো, অপরাধীদের ফাঁসি দাও!
বিএনপি: অপরাধের নির্মোহ বিচারই সেনাবাহিনীর সম্মান ও গণতন্ত্রের ভিত্তি।
টুইট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচারের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যায়বিচার শুধু অতীতের অন্যায়ের শাস্তি নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার নিশ্চয়তাও দেয়।
দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিতে জোর দেওয়া হয়েছে যে, দেশের চলা উচিত ‘ল অফ দ্যা ল্যান্ড’ অনুসারে। কোনো চিহ্নিত ব্যক্তির দায় কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো যায় না এবং তাদের অপকর্মের কারণে সেই প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও অনুচিত। “একজন মানুষের কাজের ভালো-মন্দের দায়, বিশেষত গুরুতর অপরাধের শাস্তি, একান্তই তার নিজের,” বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্যাসিবাদের যুগে গুম, খুন ও নিপীড়নের সবচেয়ে বড় শিকার হিসেবে বিএনপি নিজেকে দেখলেও, সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পক্ষে অটল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এখানে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নয়, বিবেচ্য কেবল ব্যক্তির অপরাধ ও আইনের শাসন। কোনো ব্যক্তি বিশেষের বিচ্ছিন্ন অপরাধের সঙ্গে একটি দেশপ্রেমিক বাহিনীকে ঘিরে জনগণের আবেগ, আস্থা ও সম্মানের কোনো সম্পর্ক নেই, থাকা উচ্চিতও নয়।”
বিএনপি সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ‘এই দেশের, এই মাটির গর্বিত সন্তান’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, অধিকাংশ সেনা সদস্য মন থেকে চান যেন সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হয়। এতে কোনো সরকার আর সেনাবাহিনীর কাছে গুম-খুনের মতো অন্যায় নির্দেশ দিতে না পারে। “সর্বজনীন এই আকাঙ্খার সাথে বিএনপি শতভাগ একমত,” বিবৃতির শেষে জানানো হয়েছে।
দলের এই অবস্থান এসেছে একই সঙ্গে দেশে চলমান রাজনৈতিক আলোচনা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে। বিএনপি আইনের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধাই একটি শান্তিপূর্ণ, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি বলে মনে করে।
এই বিবৃতি রাজনৈতিক বৃত্তে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা সেনাবাহিনী ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।