‘সুয়েজ খাল ও রেড সি’ পথে জাহাজ চালাচলের সিদ্ধান্ত মায়েরস্কের

প্রতীকী ছবি

বিশ্ব ডেস্ক: ডেনমার্ক ভিত্তিক বাণিজ্যিক জাহাজ প্রতিষ্ঠান মায়েরস্ক বুধবার জানিয়েছেন, তারা আগামী কয়েক সপ্তাহে ‘সুয়েজ খাল ও রেড সি’ দিয়ে তাদের কয়েকটি জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মায়েরস্কের এমন সিদ্ধান্তের ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট যে বৈশ্বিক শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও এই পথে জাহাজ চালানো শুরু করবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘পরবর্তীতে যেকোনো আকস্মিক পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে তাদের ওই পথে জাহাজ চালনার সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।’

চলতি মাসের শুরুতে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি ‘রেড সি’তে পণ্যবাহী জাহাজে হামলা শুরুর পর মায়েরস্ক ও হাপাগ লয়েডসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিপিং কোম্পানিগুলি ওই পথে তাদের জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

‘রেড সি’তে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার স্বার্থে আমেরিকার নেতৃত্বে সামরিক অভিযান শুরুর বিষয়টি উল্লেখ করে মায়েরস্ক ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে ওই পথ ব্যবহার করে আবারও পূর্ব ও পশ্চিম দিকে জাহাজ চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ফ্রান্স ভিত্তিক কন্টেইনার শিপিং প্রতিষ্ঠান জিএমএ সিজিএম মঙ্গলবার জানান, সুয়েজ খাল দিয়ে চলাচল করে এমন জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

গ্রাহকদের জন্য বুধবার প্রকাশিত মায়েরস্কের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত একটি জাহাজ হলো ম্যারেন মায়েরস্ক। ‘মরক্কোর ট্যানজিয়ার্স থেকে ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ ছেড়ে আসা জাহাজটি সুয়েজ খাল দিয়ে যাত্রা করে আনুমানিক জানুয়ারির ১৪ তারিখে সিঙ্গাপুরে পৌঁছাবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে মায়েরস্ক আরোও জানিয়েছেন, সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও তাদের অনেক জাহাজ নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার যেতে আফ্রিকার উপকূল ঘুরে যাবে।

এশিয়া থেকে ইউরোপ ও নর্থ অ্যামেরিকার পূর্ব উপকূলে পণ্য পরিবহন করতে ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে মায়েরস্কের জাহাজগুলো আফ্রিকার উপকূল হয়ে ‘কেইপ অফ গুড হোপ’ এর পথটি ব্যবহার করছে। এর জন্য বাড়তি সময় লাগার পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি-ও আদায় করছে তারা।

জার্মানি ভিত্তিক কন্টেইনার শিপিং প্রতিষ্ঠান হাপাগ লয়েডের একজন মুখপাত্র বুধবার বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এখনও সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ পরিচালনাকে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি আরও জানিয়েছে, হাপাগ লয়েড কেইপ অফ গুড হোপ এর পথ দিয়েই তাদের জাহাজগুলোকে পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি। আগামী শুক্রবার আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।