ডোনাল্ড ট্রাম্প: দেশপ্রেমের আন্তর্জাতিক প্রতীক

টুইট প্রতি‌বেদক: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে দেখা হ‌চ্ছে। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি এবং ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (MAGA) স্লোগানের মাধ্যমে।

তাঁর সমর্থকরা এটিকে আমেরিকান স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে মনে করেন। পিউ রিসার্চ ও গ্যালাপ জরিপ অনুসারে, ২০২৫ সালে ট্রাম্পের দেশপ্রেম ইসরায়েল, ভারত, আর্জেন্টিনা ও ইউরোপের কিছু দেশে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

ট্রাম্পের দেশপ্রেমের উদাহরণ

ট্রাম্পের দেশপ্রেম প্রধানত অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে চীনের উপর ট্যারিফ আরোপ এবং ‘মেড ইন আমেরিকা’ উত্সাহিত করা হয়েছে। প্যাট্রায়টিক এডুকেশন কমিশন আমেরিকান ইতিহাসের ‘প্রো-আমেরিকান’ কারিকুলাম চালু করেছে। সীমান্ত নিরাপত্তা নীতিতে ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ এবং দেওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ স্টিমুলাসের মাধ্যমে আমেরিকানদের জন্য অগ্রাধিকারযুক্ত ২.২ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী প্রভাব

ট্রাম্পের দেশপ্রেম পপুলিস্ট নেতাদের মধ্যে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মিলেই, জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবে, অস্ট্রেলিয়ার ‘ট্রাম্পেট অফ প্যাট্রায়টস’ পার্টি এবং ইউরোপের কিছু দেশ ট্রাম্পের নীতিকে অনুসরণ করেছে। তবে পিউ জরিপে ইউরোপে (জার্মানি ১৮%) ও লাতিন আমেরিকায় (মেক্সিকো ৮%) নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

সমালোচনা ও বিতর্ক

ট্রাম্পের দেশপ্রেমকে অনেকে ‘সিলেকটিভ প্যাট্রায়টিজম’ হিসেবে অভিহিত করেন। ডেমোক্র্যাটরা এটিকে ‘ন্যাশনালিজম’ বলে সমালোচনা করেছেন। বিজনেস ইনসাইডারের মতে, তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থকে দেশের ওপর অগ্রাধিকার দেন।

ট্রাম্পের দেশপ্রেম বিশ্বজুড়ে পপুলিস্ট নেতাদের জন্য উদাহরণ। এটি আমেরিকাকে শক্তিশালী করেছে, তবে গ্লোবাল সহযোগিতা ও সমালোচনা গ্রহণে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সমর্থকদের মতে, এটি বিরল ও অনুপ্রেরণামূলক।