বান্দরবানে সৌরচালিত পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট উদ্বোধন

বান্দরবানের সুয়ালক হেডম্যান পাড়ায় সৌরচালিত সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন: একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

বান্দরবান প্রতিনিধি:  বান্দরবানের সুয়ালক হেডম্যান পাড়ায় রিংওয়েল ভিত্তিক সৌরচালিত পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট এবং সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে।

সুয়ালক হেডম্যান পাড়ায় নতুন সৌরচালিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রায় ২,০০০ জন সরাসরি উপকারী হবেন। এলাকায় পানির অভাব একটি বড় সমস্যা ছিল, বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য। এটি SDG 6 (স্থায়ী পানি সরবরাহ) এর সাথে যুক্ত।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকটে ভোগা স্থানীয় জনগণ এই উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের বান্দরবান উপপরিচালক এস এম মনজুরুল হক। তিনি অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে সরাসরি পানি গ্রহণ করে নতুন ব্যবস্থার মান যাচাই করেন।

এ প্রকল্পটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), জাতিসংঘ মূলধন উন্নয়ন তহবিল (UNCDF), সুইডেন সরকার এবং ডেনমার্ক দূতাবাসের অর্থায়নে ‘লজিক (LIFT)’ প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপপরিচালক এস এম মনজুরুল হক বলেন, “সরকার দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যার ফলে আজ এ এলাকার জনগণ পানির কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। আপনারা এই সৌরচালিত পানি পরিশোধন প্ল্যান্ট, পাইপড সরবরাহ ব্যবস্থা এবং অফিস ঘরটির যত্ন নেবেন এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। তাহলে প্রতিটি ঘরে সারাদিন পর্যাপ্ত সুপেয় পানি পৌঁছবে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা, এলজিইডি’র সদর উপজেলা প্রকৌশলী অনুপম সিকদার, লজিক প্রকল্পের ডিসিএফসি মোমেন খান, প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার রনিজ চাকমা ও করুনাময় চাকমা, সদর উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর মাচউ মার্মা মিলি এবং স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সৌরচালিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই। পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট থাকলেও এটি কার্যকরভাবে কাজ করবে।

বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে পানি দূষণ ও অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে এ ধরনের প্রকল্প জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, বান্দরবানের এই প্রকল্পটি দেশের অন্যান্য পাহাড়ি অঞ্চলের জন্যও অনুকরণীয় হয়ে উঠবে।